প্রায়
এক দশক কারাভোগের পর অবশেষে ইসরায়েলি
কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আহমেদ মানাসরা—একজন ফিলিস্তিনি তরুণ, যিনি মাত্র ১৩ বছর বয়সে
মিথ্যা হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কারাবন্দি হন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সাজার
মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানান
তার আইনজীবী খালেদ জাবারকা।
অধিকৃত
পূর্ব জেরুজালেমের বাসিন্দা মানাসরা ২০১৫ সালে তার চাচাতো ভাই হাসান মানাসরার সঙ্গে থাকার "অপরাধে" গ্রেপ্তার হন। সেই বছর হাসান পূর্ব জেরুজালেমের একটি অবৈধ ইসরায়েলি বসতির কাছে দুই ইসরায়েলিকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন এবং পরে গুলিতে নিহত হন। ওই ঘটনার সঙ্গে
সরাসরি জড়িত না থাকলেও আহমেদ
মানাসরাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
ঘটনার
পর আহমেদ পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কে পড়ে আছেন, আর এক ইসরায়েলি
পথচারী তাকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ ও গালিগালাজ করছেন।
ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং আরব বিশ্বে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। অনেকেই মনে করেছিলেন, ছেলেটি ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। পরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে তার একটি ছবি প্রকাশ করে জানায়, সে বেঁচে আছে।
আহমেদের
কারাবাস ও বিচার প্রক্রিয়া
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নজরে আসে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, আহমেদ কারাগারে ‘মর্মান্তিক মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের
শিকার’ হন, যার ফলে তিনি গুরুতর মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
আইনজীবী
খালেদ জাবারকা বিবিসিকে জানান, নির্ধারিত সাড়ে নয় বছরের সাজা
শেষে অবশেষে আহমেদ মানাসরাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।