গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফা শহরকে চারদিক থেকে ঘিরে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবার (১২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ‘মোরাগ করিডোর’ নামে পরিচিত একটি কৌশলগত রুটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, যার ফলে রাফাকে গাজার বাকি অংশ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব হয়েছে। খবর আল জাজিরা ও রয়টার্স-এর।
এছাড়া রাফার বাসিন্দাদের অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এর আগে, ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় নতুন করে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের সেনাবাহিনী এখন ‘মোরাগ করিডোর’ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং রাফাকে পুরোপুরি ঘিরে রেখেছে। এটি এখন ইসরায়েলের নিরাপত্তা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।”
তিনি আরও বলেন, “এটাই শেষ সুযোগ—হামাসকে নির্মূল করে, জিম্মিদের মুক্ত করে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায়, পুরো গাজা স্ট্রিপজুড়ে অভিযান ছড়িয়ে পড়বে।”
কাটজ জানান, এর আগে গাজায় ইসরায়েল যে আরেকটি রুট “নেটজারিম করিডোর” তৈরি করেছিল, সেটিও আরও প্রসারিত করা হবে।
তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পূর্ববর্তী এক পরিকল্পনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “যেসব গাজাবাসী স্বেচ্ছায় অন্য কোনো দেশে চলে যেতে চায়, তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।”
এর আগেই ইসরায়েল গাজার দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত ফিলাডেলফি করিডোর দখলে নিয়েছিল। এরপর খান ইউনিসের কাছে গড়ে তোলে মোরাগ করিডোর। এই করিডোর দখলের মাধ্যমে এখন রাফা একদিকে খান ইউনিস থেকে, অন্যদিকে পুরো গাজার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাফাকে বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনার বাস্তবায়ন আরও একধাপ এগিয়ে নিল।