ছবিঃ সংগৃহীত।
গাজা সিটির প্রধান চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার (আইসিইউ) ও সার্জারি বিভাগ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে হামাস।
অনলাইনে
প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দুই তলা একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর হাসপাতাল চত্বর
থেকে বিশাল অগ্নিশিখা ও ধোঁয়া উঠে
আসছে। ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, হাসপাতালের কিছু রোগী এখনো বিছানায় থাকা অবস্থায় আতঙ্কে প্রাণ বাঁচাতে ছুটে যাচ্ছেন।
একজন
স্থানীয় সাংবাদিক জানিয়েছেন, হামলার পূর্বে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে ফোন
করে অবিলম্বে পুরো হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দেয়।
সাংবাদিকের
ভাষ্যমতে, ইসরায়েলি এক সেনা কর্মকর্তা
ফোনে বলেন, সব রোগী ও
আশ্রয় নেওয়া মানুষজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে হবে। আপনাদের হাতে আছে মাত্র ২০ মিনিট।
সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রাতের আঁধারেই হাসপাতালের চিকিৎসক ও রোগীরা ভবন
থেকে দ্রুত সরে যাচ্ছেন। হাসপাতালের আঙিনায় আশ্রয় নেওয়া অসংখ্য ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকেও আতঙ্কিতভাবে
পালাতে দেখা গেছে।
আল-আহলি হাসপাতাল—যুদ্ধের আগে একটি ছোট আকারের চিকিৎসা কেন্দ্র—বর্তমানে গাজা সিটিতে কার্যকর একমাত্র হাসপাতাল হিসেবে টিকে আছে। আল-শিফা মেডিকেল
কমপ্লেক্সসহ গাজার উত্তরের অন্যান্য হাসপাতাল সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর এটি এখন
একমাত্র সক্রিয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র।
হামাস
নিয়ন্ত্রিত সরকার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে এই
হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে
বলা হয়, আল-আহলি হাসপাতালে
শত শত রোগী ও
চিকিৎসা কর্মী অবস্থান করছিলেন। সেখানে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল একটি ভয়াবহ অপরাধ করেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে,
২০২৩ সালের অক্টোবরে একই হাসপাতালে এক হামলায় শতাধিক
মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। সে সময় ফিলিস্তিনি
কর্মকর্তারা ইসরায়েলি বিমান হামলাকেই দায়ী করলেও, ইসরায়েল দাবি করেছিল যে, ওই বিস্ফোরণ ঘটে
একটি ব্যর্থ রকেট উৎক্ষেপণের ফলে, যা ফিলিস্তিনি ইসলামিক
জিহাদ গোষ্ঠীর দিক থেকে ছোড়া হয়েছিল। তবে সংগঠনটি সে অভিযোগ অস্বীকার
করেছিল।
ইসরায়েলি
সেনাবাহিনী ৭ অক্টোবর ২০২৩-এ হামাসের অভূতপূর্ব
সীমান্ত পারাপার হামলার পর গাজায় সামরিক
অভিযান শুরু করে। সেই হামলায় আনুমানিক ১,২০০ ইসরায়েলি
নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয় বলে জানায়
ইসরায়েল।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এরপর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০,৯৩৩ জনে।
এর মধ্যে ১৮ মার্চ ২০২৪
থেকে ইসরায়েল নতুন করে হামলা শুরুর পর প্রাণ হারিয়েছেন
আরও ১,৫৬৩ জন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh