বিশ্বজুড়ে
চলমান ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই গাজা উপত্যকা সফরে গিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এই
সফর অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
সফরের
সময় নেতানিয়াহু গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থানরত সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তার সঙ্গে ছিলেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এবং শীর্ষ সামরিক কমান্ডাররা। সেখানে উপস্থিত সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, হামাস আরও বড় পরিমাণে আঘাত
পেতে যাচ্ছে। তিনি এই যুদ্ধকে ইসরায়েলের
জন্য ‘অবশ্যকীয়’ দাবি করে হামাস নির্মূলের দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন।
গাজা
সফরের সময় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টের কথা উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু। তিনি দাবি করেন, খামেনি ইসরায়েল ধ্বংসের আহ্বান জানিয়েছেন, এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য ইসরায়েলের এই যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী
হয়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য,
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ব্যাপক সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দীর্ঘদিনের এই অভিযান আন্তর্জাতিক
মহলে তীব্র নিন্দার জন্ম দেয়। পরে জানুয়ারি মাসের ১৯ তারিখে যুদ্ধবিরতি
কার্যকর হয়, তবে তা স্থায়ী হয়নি।
১৮ মার্চ সেই যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবারও নতুন করে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যার ফলে গাজার একটি বড় অংশ এখন
তাদের নিয়ন্ত্রণে।
এই
নতুন ধাপের আগ্রাসনে প্রাণ বাঁচাতে আবারও গাজাবাসীরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন। বিদ্যুৎ, পানি, খাদ্য ও ওষুধের মারাত্মক
সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপত্যকার জনজীবন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ক্রমাগত এই পরিস্থিতিকে মানবিক
বিপর্যয় হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে, যদিও ইসরায়েলি নেতৃত্ব তাদের সামরিক কার্যক্রমকে আত্মরক্ষার অংশ হিসেবে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে।