গাজার
হাসপাতালসহ বেসামরিক স্থানে ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে স্পষ্টভাবে বলেন, গাজায় মানুষের দুর্দশা যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয়।
বুধবার
(১৬ এপ্রিল) নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনার পর এক্স (সাবেক
টুইটার)-এ দেওয়া এক
পোস্টে ম্যাক্রোঁ বলেন, গাজার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আর চলতে দেওয়া
যায় না। অবিলম্বে সেখানে মানবিক ত্রাণ পৌঁছাতে হবে এবং কোনো ধরনের বাধা দেওয়া উচিত নয়।
তিনি
আরও জানান, একমাত্র যুদ্ধবিরতিই পারে বাকি পণবন্দিদের মুক্তির পথ খুলে দিতে।
ফ্রান্সের
প্রেসিডেন্ট জানান, তার দেশ সব পণবন্দির মুক্তি
এবং হামাসকে নিরস্ত্র করে দুই-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তিনি মনে করেন, এই সংকট থেকে
বেরিয়ে আসার পথ হলো অবিলম্বে
যুদ্ধবিরতি ঘোষণা।
এদিকে
জাতিসংঘও জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে
গাজায় কোনো ত্রাণসাহায্য প্রবেশ করতে না পারায় মানবিক
পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি
হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েল ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির
প্রস্তাব দিয়েছে, যার বিনিময়ে সব পণবন্দিকে মুক্তি
দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ইসরায়েলের দাবি, যুদ্ধবিরতির আগে হামাসকে অস্ত্র পরিত্যাগ করতে হবে—যা মেনে নিতে
রাজি নয় হামাস।
উল্লেখযোগ্যভাবে,
গত সপ্তাহে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেন যে, আগামী জুন মাসে জাতিসংঘের সম্মেলনের সময় ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে। তিনি বলেন, ফ্রান্স যদি স্বীকৃতি দেয়, তাহলে অন্যান্য দেশও সে পথে হাঁটবে।
তবে
ইসরায়েল এই প্রস্তাবের তীব্র
বিরোধিতা করে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা
হয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করা। এখনো সেই সময় আসেনি।