রাশিয়ার
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে আকস্মিকভাবে তিন দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির ওপর সোভিয়েত বিজয়ের স্মরণে রাশিয়ার জাতীয় দিবস ‘বিজয় দিবস’ উপলক্ষে আগামী ৮ থেকে ১০
মে পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর
থাকবে বলে সোমবার (২৮ এপ্রিল) জানিয়েছে ক্রেমলিন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুশ পক্ষ বিশ্বাস করে ইউক্রেনও একই ধরনের যুদ্ধবিরতির পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তবে কিয়েভ যদি এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন
করে হামলা চালায়, তাহলে রাশিয়া পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত থাকবে।
এর
আগে খ্রিস্টানদের বড়দিন উপলক্ষে রাশিয়া স্বল্প সময়ের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল। যদিও সেই সময় উভয়পক্ষ শত শতবার যুদ্ধবিরতি
ভঙ্গ করে হামলা চালানোর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছিল। তবে ওই বিরতিতে সাময়িকভাবে
সংঘাত কিছুটা হ্রাস পায়। এবার বিজয় দিবসের ৮০তম বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার এ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা
যুদ্ধকবলিত অঞ্চলগুলোর জন্য কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে
আরও জানানো হয়, যুদ্ধবিরতির এই সময়সীমা ৭
মে রাত থেকে শুরু হয়ে ১০ মে মধ্যরাত
পর্যন্ত চলবে, যার মধ্যে সব ধরনের সামরিক
অভিযান স্থগিত থাকবে। তবে ইউক্রেন যদি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে, সেক্ষেত্রে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ‘যথাযথ ও কার্যকর’ জবাব
দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে,
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি দীর্ঘমেয়াদি, শর্তহীন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির
প্রস্তাব দিয়েছিল, যা ইউক্রেন গ্রহণ
করলেও পুতিন তা প্রত্যাখ্যান করেন।
পরবর্তীতে বড়দিন উপলক্ষেও মাত্র ৩০ ঘণ্টার জন্য
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন তিনি, যা কিয়েভ ও
ইউরোপীয় মিত্ররা ‘জনসংযোগের কৌশল’ বলে প্রত্যাখ্যান করে।
প্রসঙ্গত,
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া
ইতোমধ্যে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ
নিয়েছে। এরও আগে, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের দখল নেয় রুশ বাহিনী।