জম্মু
ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলাকে ভারতের মোদি সরকারের "রাজনৈতিক কৌশল" হিসেবে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ এ অভিযোগ করেন।
আজ
(৪ মে) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, এক বেসরকারি টিভি
চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, ভারত কৌশলগত উদ্দেশ্যে এই হামলাকে ব্যবহার
করছে। তারা পাকিস্তানের অর্থনীতি এবং কূটনৈতিক অবস্থান দুর্বল করার চেষ্টা করছে।
তিনি
অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক
সংস্থার মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানকে চাপের মুখে ফেলতে চায়। তার দাবি, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সূচকগুলো উন্নতির দিকে যাওয়ায় ভারত উদ্বিগ্ন হয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
আসিফ
আরও বলেন, পেহেলগাম হামলা সাজিয়ে মোদি সরকার রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। পাকিস্তান এ বিষয়ে স্বচ্ছ
আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে, যার ফলে ভারতের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি
জানান, পাকিস্তান শিগগিরই সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে। একইসঙ্গে তিনি ভারতকে আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি বলে আখ্যা দেন, যুদ্ধ বিষয়ে ভারতের ‘উন্মাদনা’ নিয়ে সতর্কতা জারি করেন।
উল্লেখ্য,
সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত
হন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটিকে কাশ্মির
অঞ্চলের সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে
বিবেচনা করা হচ্ছে। পর্যটকদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলার পর
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হামলার
পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত ঘোষণা করে। জবাবে পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিত করে এবং ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয়।
এ
পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার পাকিস্তান “আবদালি” ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। ৪৫০ কিমি রেঞ্জের এই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান
“সিন্ধু মহড়া”র অংশ হিসেবে
উৎক্ষেপণ করে। ভারতের কর্মকর্তারা এটিকে “খোলামেলা উসকানি” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।