পরমাণু
কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা চরমে উঠেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, পরমাণু চুক্তি না হলে ইরানে
সরাসরি হামলার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই ধরনের হুমকি এসেছে ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও।
এই
প্রেক্ষাপটে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তেহরান। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ রোববার (৪ মে) জানিয়েছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল ইরানের
ওপর হামলা চালায়, তবে তেহরান যেকোনো সময় ও স্থানে তাদের
স্বার্থ, ঘাঁটি ও বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তুতে
পরিণত করবে।
আজ
(৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই
তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
তিনি
আরও বলেন, ইরান প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি কোনো বৈরিতা পোষণ করে না। তবে যদি ইরানে হামলা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক ঘাঁটিগুলো আমাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে।
এই
বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে
যখন ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়নের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হামলার জবাবে প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
তবে
ইরানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, হুথিরা স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং তারা ইরানের নির্দেশে পরিচালিত হয় না।
এদিকে,
সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ইরান সম্প্রতি “কাসেম বাসির” নামের একটি নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ
১,২০০ কিলোমিটার এবং এটি উন্নত নির্দেশনা ও গতিশীল প্রযুক্তির
মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এমনকি এটি জিপিএস ছাড়াও লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত করতে পারে।