জম্মু
ও কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর দক্ষিণ এশিয়ার
দুই চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে
নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান উসকানিমূলক কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলে জানিয়েছেন
দেশটির পররাষ্ট্র ও উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার।
আজ (৫ মে)
ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগী সংস্থা ইনস্টিটিউট অব রিজিওনাল স্টাডিজ
(আইআরএস) আয়োজিত ‘রিজিওনাল ডায়লগ ২০২৫’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসহাক
দার বলেন, আমরা শান্ত থাকব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমার আহ্বান, আমাদের নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে অন্যদিকে
(ভারত) নজর দিন। আমি নিশ্চিত করছি, পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়াবে না। বরং আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে।
তবে
একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, পেহেলগামের হামলাটি ভারতের একটি ‘পূর্বপরিকল্পিত কৌশল’। তিনি প্রশ্ন
তোলেন, যেখানে হামলা হয়েছে, সেই স্থানে নিকটতম থানার দূরত্ব কমপক্ষে ৪৫ মিনিট। অথচ
মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে
সেখানে এফআইআর রেজিস্ট্রি করা হলো! এটা কীভাবে সম্ভব? ভারত কি আমাদের বোকা
ভেবেছে?
গত
২২ এপ্রিল অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অন্তত ২৬ জন পর্যটককে
গুলি করে হত্যা করে। আহত হন আরও অনেকে।
নিহতরা সবাই পুরুষ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মিরে সবচেয়ে
বড় প্রাণঘাতী হামলা।
ভারত
এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারত সিন্ধু নদ পানি চুক্তি
স্থগিতসহ বেশ কিছু কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্যোগ
নেয়। জবাবে পাকিস্তানও ভারতের জন্য স্থল ও আকাশসীমা বন্ধসহ
একাধিক প্রতিক্রিয়া জানায়।
এই
হামলার জেরে দুই দেশের মধ্যে গত এক সপ্তাহ
ধরে তীব্র উত্তেজনা চলছে। তবে পাকিস্তান সরকার এখন পর্যন্ত সংযম দেখানোর বার্তা দিচ্ছে।
ইসহাক
দার বলেন, ভারত এখন একটি বিপজ্জনক রাজনৈতিক খেলা খেলছে। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য তারা গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। কিন্তু পাকিস্তান শান্তির পক্ষেই থাকবে।
সূত্রঃ ডন।