ইসরায়েলের
চালানো এক বিমান হামলায়
নিহত হয়েছে ফিলিস্তিনি শিশুশিল্পী হাসান আয়াদ। গত সোমবার (৫ মে) গাজার
নুসাইরাত শহরে চালানো এই হামলায় আরও
অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি
নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিল দেশটির সাংস্কৃতিক জগতের এক উজ্জ্বল তরুণ
মুখ—হাসান আয়াদ। মিষ্টি কণ্ঠে প্রতিবাদী গান গেয়ে গাজাবাসীর হৃদয় জয় করেছিল এই
শিশু।
ফিলিস্তিনি
সংবাদমাধ্যম প্যালেস্টাইন ক্রনিকল জানিয়েছে, শিশুটির বাড়ি ছিল গাজার ছিটমহলে। সেখানে সোমবার ভোর থেকে ইসরায়েল একের পর এক বিমান
হামলা চালালে বহু বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারান। সেই তালিকায় ছিল হাসান আয়াদের নামও।
দেশপ্রেম
ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে হাসান গেয়ে যেত প্রতিবাদী গান। তার মৃত্যুর পর সেই গান
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ওঠে। গানটির কথাগুলো ছিল হৃদয়বিদারক ও কঠোর বাস্তবতার
প্রতিচ্ছবি—
“যুদ্ধবিমানের
সাথে, আমরা মৃত্যুর স্বাদ পেয়েছি,
স্থল
ও সমুদ্র থেকে বিমান হামলা।
তারা
ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে - মানুষ ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে,
সাক্ষী
থাকো বিশ্ব, তারা যা করেছে -
তারা
ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে,
যখন
আরবরা শান্তিতে ঘুমাচ্ছে।”
হাসানের
গাওয়া সেই গান পোস্ট করে গাজার এক সাংবাদিক লিখেছেন,
আজ তার কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ হয়ে গেল। যে শিশুটি মৃত্যুর
গান গেয়েছিল, সে নিজেই আজ
মৃত্যুর আলিঙ্গনে। তার বিদায় তার কথার মতোই মহৎ ছিল।
ফিলিস্তিনি
চলচ্চিত্র পরিচালক রশিদ মাশারাওয়িও শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, হাসান আয়াদ গাজা থেকে আমাকে একটি গান উৎসর্গ করেছিল। সে আমার চলচ্চিত্র
‘জিরো ডিসটেন্স’-এর জন্য গান
গেয়েছিল তার মিষ্টি, হৃদয়ছোঁয়া কণ্ঠে। আজ সে আর
নেই—শহিদ হয়েছে ইসরায়েলের বিমান হামলায়।