কাশ্মিরের
নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর আবারও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ (৭ মে) পাকিস্তানের
চালানো আর্টিলারি হামলায় ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মির অঞ্চলে
অন্তত ১০ জন নিহত
হয়েছেন। তবে হতাহতদের মধ্যে সামরিক সদস্য নাকি বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন, সে বিষয়ে এখনো
আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা যায়নি।
এ
ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল,
যখন এর আগের দিন
(৬ মে) মধ্যরাতে পেহেলগামের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের ৯টি স্থানে সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ওই অভিযানে পাকিস্তানের
অন্তত ৮ জন নিহত
এবং ৩৫ জন আহত
হন।
ভারতীয়
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে 'এক্স' (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে
দাবি করা হয়, পাকিস্তান কাশ্মীরের পুঞ্চ-রাজৌরি এলাকার ভিম্বার গলিতে কামান থেকে গোলাবর্ষণ চালিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা আরও বেড়েছে।
এর
আগে পাকিস্তান দাবি করেছিল, তারা ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান এবং একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। জবাবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানান, ভূপাতিত বিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল, একটি রাশিয়ার তৈরি সুখোই-৩০ (Su-30) এবং একটি মিগ-২৯। উল্লেখ্য, Su-30 ও মিগ-২৯
যুদ্ধবিমানগুলো সোভিয়েত আমলের প্রযুক্তিতে নির্মিত।
এছাড়া,
পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করে দেওয়ার দাবিও করেছে। ওই হামলায় কাশ্মিরের
রাজধানী শ্রীনগরে তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চলমান
এই সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশের
সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে সব স্কুল বন্ধ
ঘোষণা করা হয়েছে।