× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়নি পাকিস্তান, এ কারণেই হামলা- বিক্রম মিশ্রি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।

০৭ মে ২০২৫, ১৪:৪৩ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

কাশ্মির পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তানে চালানো ভারতের সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। হিন্দুস্তান টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতের এই অভিযানে পাকিস্তানে অবস্থিত সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পরিচিত এই অভিযান নিয়ে বুধবার (৭ মে) সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মিশ্রি।

তিনি বলেন, পেহেলগামে ২২ এপ্রিলের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারত নিরব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পারেনি। ‘দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামক একটি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেছে, যাদের সঙ্গে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত লস্কর-ই-তৈয়্যবার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা তথ্য ও বারবার সতর্কতা সত্ত্বেও পাকিস্তান তাদের সীমানা থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পাকিস্তান আজ বিশ্ব দরবারে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে,—বলেন মিশ্রি।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের মে এবং নভেম্বর মাসে ভারত জাতিসংঘের ১২৬৭ নিষেধাজ্ঞা কমিটির মনিটরিং টিমকে টিআরএফ-এর কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেছিল। এছাড়া ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ভারত জানায়, লস্কর ও জইশ-ই-মোহাম্মদ সংগঠনগুলো টিএরফি-এর মতো গোষ্ঠীর মাধ্যমে হামলা পরিচালনা করছে।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকেও পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল টিআরএফ-এর কার্যক্রম বন্ধে। তবু কোনো পরিবর্তন না আসায় ভারত নিজেদের নাগরিকদের রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।

বিক্রম মিশ্রি দাবি করেন, পেহেলগামের হামলার তদন্তে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। টিআরএফ-এর দায় স্বীকার এবং লস্কর-ই-তৈয়্যবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বার্তাগুলোও সেই যোগসূত্রের প্রমাণ বহন করে।

তিনি আরও বলেন, এই হামলা শুধু একটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছিল না, বরং ভারতের অভ্যন্তরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুসারে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের হামলার পরিকল্পনা ছিল, তাই সময়মতো প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছিল।

ভারত দাবি করেছে, তাদের এই অভিযানে লস্কর-ই-তৈয়্যবা, জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের একাধিক অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী একে ‘সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, যার উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, কোনও রকম উত্তেজনা বাড়ানো নয়।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.