পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিশ্ববাসীর
উদ্দেশ্যে এক সরাসরি বার্তা
দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এই বার্তায় তিনি
লেখেন, বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স বা শূন্য সহনশীলতা
দেখাতে হবে। ভারতের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির বরাতে এ তথ্য জানা
গেছে।
এর
আগে বুধবার (৭ মে) ভোররাতে
পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। ভারতীয় পক্ষ জানায়, এই অভিযান ‘অপারেশন
সিঁদুর’ নামে পরিচালিত হয়েছে এবং লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের ভেতরে অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করা।
এই
হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফফরাবাদ এলাকায়
একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত, যা তিনি ‘কাপুরুষোচিত’
বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এরই মধ্যে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে।
এদিকে
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করেছেন, সীমান্ত আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান বিমান বাহিনী ভারতের অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০, এবং একটি মিগ-২৯।
অন্যদিকে
জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলওসি বরাবর
রাতভর পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাদের
মধ্যে তীব্র গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় পক্ষ দাবি করেছে, পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে তাদের তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সর্বশেষ
পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত
কাশ্মীরের অন্তত নয়টি স্থানে ভারত হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে দুটি
মসজিদে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
উপমহাদেশে
পরমাণু শক্তিধর দুই রাষ্ট্রের এই সামরিক উত্তেজনা
ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাড়ছে উদ্বেগ। এমন সময়ে জয়শঙ্করের ‘জিরো টলারেন্স’ বার্তাকে কৌশলগত রাজনৈতিক অবস্থান হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্রঃ এনডিটিভি।