কাশ্মির
সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের
মধ্যে আবারও ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। এতে ভারতীয় এক সেনাসদস্যসহ অন্তত
১৩ জন নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বিনা উসকানিতে গোলাগুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত।
বৃহস্পতিবার
(৮ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পৃথক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে। সিএনএন-এর বরাত দিয়ে
জানা গেছে, বুধবার (৭ মে) রাতে
কাশ্মিরের বিতর্কিত অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উভয় পক্ষ গোলাগুলি চালায়।
ভারতের
প্রতিরক্ষা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বারতওয়াল জানিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনারা “হালকা অস্ত্র ও আর্টিলারি গান”
ব্যবহার করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এর জবাবে ভারতীয়
সেনারাও “উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া” দেয়।
নিয়ন্ত্রণরেখা
বরাবর সংঘর্ষে নিহত হন ভারতীয় সেনা
দীনেশ কুমার শর্মা, যিনি ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের বাসিন্দা এবং জম্মুর পুঞ্চ সেক্টরে দায়িত্বে ছিলেন। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সাইনি সামাজিক মাধ্যমে তার নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “দেশ কখনও আপনার এই আত্মত্যাগ ভুলবে
না।”
সিএনএন
আরও জানায়, পাকিস্তানি গোলাগুলিতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ১২ জন বেসামরিক
ব্যক্তি নিহত এবং ৫৭ জন আহত
হয়েছেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি ও আখনুর সেক্টরের
বিপরীতে পাকিস্তানের সেনারা টানা ১৪তম দিন গোলাগুলি চালিয়েছে, যা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের
পর্যায়ে পড়ে।
ভারতীয়
সেনাবাহিনী জানায়, ৭ থেকে ৮
মে রাতের সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে চারজন শিশু ও একজন সেনাসদস্য
রয়েছেন। পাকিস্তানের গোলাবর্ষণ ছিল ভারতের “অপারেশন সিন্দুর”-এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে
বলে দাবি করা হয়েছে।
কাশ্মিরের
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিলের
হামলায় ২৬ জন ভারতীয়
পর্যটক নিহত হওয়ার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা
বরাবর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন
জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সূত্রঃ সিএনএন, এনডিটিভি।