ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ১২টি ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় একজন
বেসামরিক ব্যক্তি নিহত এবং চারজন পাক সেনাসদস্য আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) কাতারভিত্তিক
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও
পাকিস্তানি দৈনিক ডন এই তথ্য
নিশ্চিত করেছে।
পাকিস্তানের
সেনাবাহিনী জানায়, এক রাতে অন্তত
১২টি ভারতীয় ড্রোন পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। এসব ড্রোন বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলার চেষ্টা করে, যার মধ্যে একটি লাহোরের কাছে একটি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সেগুলোকে একাধিক স্থানে গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করে।
পাকিস্তানের
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, ভারত ফের আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে এবং একাধিক জায়গায় হারোপ ড্রোন পাঠিয়ে হামলার চেষ্টা করেছে। তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যথাযথ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে এবং অভিযান এখনো চলছে।
তিনি
আরও বলেন, এটি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্পষ্ট সামরিক আগ্রাসন, এবং ভারতের সাম্প্রতিক আচরণ তাদের অহংকার-যুক্ত ও দিশেহারা মনোভাবের
প্রতিফলন। যেখানে কূটনৈতিক পথেই উত্তেজনা কমানো উচিত ছিল, সেখানে ভারত উল্টো উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।
জেনারেল
চৌধুরী দাবি করেন, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ভারত বড় ধরনের ক্ষতির
মুখে পড়েছে। পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকায় তারা উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।
তিনি
আরও বলেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে এবং যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। ইতোমধ্যে ভূপাতিত ড্রোনগুলোর ধ্বংসাবশেষ বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা
মনে করছেন, এই ঘটনার ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন
মাত্রায় পৌঁছেছে। বিশেষ করে ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে নজরদারি ও সরাসরি আঘাতের ঝুঁকি
অনেকগুণ বেড়েছে, যা পুরো অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক।
সূত্রঃ ডন, আল-জাজিরা।