ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরের জম্মু সীমান্তে অনুপ্রবেশের সময় ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে জম্মুর সাম্বা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিএসএফের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাতের বেলায় সাম্বার সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছে পাকিস্তানি সীমান্তরক্ষী বাহিনী ‘রেঞ্জার্স’ হঠাৎ গুলি চালানো শুরু করে। পাল্টা জবাবে বিএসএফ সদস্যরাও গুলি ছুড়তে থাকেন। এই গুলিবিনিময়ের সুযোগে পাকিস্তানি রেঞ্জাররা কয়েকজন নাগরিককে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করে। বিএসএফের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে অনুপ্রবেশকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে ৭ জন নিহত হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার রাতেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী বিভিন্ন শহরে ড্রোন হামলা চালায়। ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, জম্মু ও কাশ্মিরের জম্মু, পাঠানকোট, উধমপুর ছাড়াও রাজস্থান, গুজরাট ও পাঞ্জাবের আকাশেও ড্রোন পাঠানো হয়। তবে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে, কারণ লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছার আগেই অধিকাংশ ড্রোন ধ্বংস করা হয়।
এর আগে ২২ এপ্রিল ভারতের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়। নিহতদের সবাই পুরুষ এবং অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ওই হামলার পর ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়—যার মধ্যে সিন্ধু নদ পানি বণ্টন চুক্তি পর্যালোচনা, ভিসা বাতিলসহ আরও কিছু ব্যবস্থা রয়েছে।
এর জবাবে পাকিস্তানও ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া ও ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা বাতিলের মতো পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
চলমান উত্তেজনার মধ্যেই গত মঙ্গলবার ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সেনা অভিযান পরিচালনা করে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের বিভিন্ন এলাকায়। নয়াদিল্লির দাবি, এতে ৭০ জন নিহত হয়, তবে পাকিস্তান দাবি করেছে নিহত হয়েছে ৩১ জন এবং আহত হয়েছে ৫৭ জন। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাব দিতেই পাকিস্তান বৃহস্পতিবার রাতে ড্রোন হামলা চালায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্রঃ এনডিটিভি।