পাকিস্তান গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন পাঠিয়েছিল বলে দাবি করেছে ভারত। শুক্রবার (৯ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্ণেল সোফিয়া কোরেশি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পাকিস্তান থেকে পাঠানো এসব ড্রোন জম্মু ও কাশ্মিরের শ্রীনগর, রাজস্থানের জয়সালমার এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোট এলাকায় দেখা গেছে। এছাড়া লাদাখের কাছে শিয়াচেন গ্ল্যাসিয়ারের বেস ক্যাম্প এবং গুজরাটের কুচ অঞ্চলেও ড্রোন প্রবেশ করে। দুটি স্থানের মধ্যকার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার—যা হামলার সম্ভাব্য বিস্তৃতি এবং পরিকল্পনার ব্যাপকতাকে নির্দেশ করে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, আকাশ প্রতিরক্ষা বন্দুক ব্যবহার করে অন্তত ৫০টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। আরও ২০টি ড্রোন রেডিও জ্যামিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
তবে বেশিরভাগ ড্রোনে কোনো অস্ত্র ছিল না বলে জানান কর্ণেল কোরেশি। তার মতে, পাকিস্তান এসব ড্রোনের মাধ্যমে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতা যাচাইয়ের চেষ্টা করেছে। অনেক ড্রোনে ক্যামেরা থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, ছবি তুলে পাকিস্তানি সেনাদের কাছে তথ্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী, পাকিস্তান এবার তুরস্কের তৈরি আসিগার্ড সোনগার ড্রোন ব্যবহার করেছে, যেগুলোর কার্যপরিধি ৫ কিলোমিটার এবং যেগুলো দিনে বা রাতে সামরিক ও নিরাপত্তা অভিযানে ব্যবহারের উপযোগী।
এ ধরনের কর্মকাণ্ড যুদ্ধবিরতির চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেন কর্ণেল সোফিয়া কোরেশি। তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের এই আগ্রাসনের জবাবে ভারত কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে এবং পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে দিয়েছে।
সূত্রঃ এনডিটিভি।