পাকিস্তানের
উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার
জানিয়েছেন, ভারত যদি সমতার ভিত্তিতে আলোচনায় বসতে চায়, তাহলে পাকিস্তান সবসময়ই প্রস্তুত। তবে তিনি অভিযোগ করেন, ভারত বরাবরই আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখিয়ে এসেছে। সোমবার (১২ মে) হাম
নিউজের জনপ্রিয় টকশো ‘ফয়সালা আপ কা’ অনুষ্ঠানে
অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
টেলিভিশন
সাক্ষাৎকারে ইসহাক দার সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে বিরাজমান গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোর সমাধান আলোচনা ছাড়া সম্ভব নয়। কিন্তু ভারত অহংকার ও আগ্রাসনের পথ
বেছে নিয়েছে। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, পেহেলগামের হামলার পর ভারত একতরফাভাবে
সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে এবং পাকিস্তানের ভূখণ্ডে একাধিক হামলা চালায়, যা দেশটির আগ্রাসী
মনোভাবকেই প্রকাশ করে।
তিনি
জানান, পাকিস্তান আগেই অনুমান করেছিল ভারত প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও
নেওয়া হয়েছিল। তার ভাষ্য মতে, ৬ মে ভারত
ছয়টি ভিন্ন স্থানে মোট ২৪টি হামলা চালায়। এর জবাবে পাকিস্তানও
উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ভারতের
সামরিক শক্তি ও আধিপত্যবাদী নীতির
সমালোচনা করে ইসহাক দার বলেন, কেবল রাফাল যুদ্ধবিমান থাকলেই হবে না — সাহস না থাকলে তা
কোনো কাজে আসে না। পাকিস্তান জানে কীভাবে তার সম্মান রক্ষা করতে হয়। তিনি আরও বলেন, আঞ্চলিক কৌশলগত অবস্থানে বর্তমানে পাকিস্তান সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে, এবং আমাদের সাহসী সেনারা দেশের স্বার্থ রক্ষায় সদা প্রস্তুত।
ভারতের
পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের জবাবে ইসহাক দার বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তো পাকিস্তানই হয়েছে।
তিনি জানান, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে পাকিস্তান বহু জীবন ও সম্পদ হারিয়েছে,
দেশ ঋণে জর্জরিত হয়েছে, তবুও সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ থামেনি।
তিনি
স্মরণ করিয়ে দেন, পাকিস্তান ‘অপারেশন জরব-ই-আযব’, ‘রাদ-উল-ফসাদ’ ও
‘রাহ-এ-নাজাত’-এর
মতো বিভিন্ন সামরিক অভিযানের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। বর্তমানে চলমান ‘অপারেশন আজম-ই-ইস্থেকাম’-এর
মাধ্যমেও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ওপর বড় ধরনের আঘাত
হানা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
শেষে
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিদেশ থেকে কিছু জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন দেওয়া হলেও পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের মূল উৎপাটনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের
সহযোগিতায় একটি স্থিতিশীল ও সন্ত্রাসমুক্ত ভবিষ্যৎ
গড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সূত্রঃ হাম নিউজ।