মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আকাশযাত্রায় এবার যুক্ত হচ্ছে ‘উড়ন্ত প্রাসাদ’ নামে খ্যাত একটি বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭-৮ জাম্বো জেট।
যার মূল্য প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। বিশ্বের অন্যতম দামি এই ব্যক্তিগত জেটটি
কাতারের রাজপরিবারের মালিকানাধীন, এবং এটি উপহার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়ার গুঞ্জন জোরালো হচ্ছে।
এই
সুপার-লাক্সারি বিমানটি এতটাই অভিজাত যে, একে ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এর সম্ভাব্য বিকল্প
হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে। রয়েছে রাজকীয় সাজসজ্জা—বিশাল শয়নকক্ষ, মার্বেল-পাথরের বাথরুম, ঝকঝকে সিঁড়িসহ চোখধাঁধানো ইন্টেরিওর। শুরুর দিকে এটি কাতারের রাজপরিবারের ব্যবহারে থাকলেও, পরে তুরস্ক সরকারও এটি ব্যবহার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের
ফ্লোরিডায় ওয়েস্ট পাম বিচ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের
মতো ট্রাম্প নিজে বিমানটির ভেতর ঘুরে দেখেন। জানা যায়, এয়ার ফোর্স ওয়ানের জন্য বোয়িং নির্মিত দুটি নতুন বিমান এখনো নির্মাণাধীন, যা সম্পূর্ণ হবে
২০২৯ সালে। ফলে সাময়িক সমাধান হিসেবে এই বিলাসবহুল বোয়িং
যুক্ত হচ্ছে ট্রাম্পের বহরে।
তবে
এই বিমানটি ‘উপহার’ হিসেবে গ্রহণ করা হবে কি না, তা
নিয়ে চলছে বিতর্ক। মধ্যপ্রাচ্যে চলতি সফরের সময় কাতারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিমান হস্তান্তরের
সম্ভাবনা থাকলেও, ৭৮ বছর বয়সী
ট্রাম্প দাবি করেছেন, এটি উপহার নয়; বরং মার্কিন সরকার বিমানটির জন্য অর্থ পরিশোধ করেছে।
অন্যদিকে
কাতার সরকারও ‘উপহার’ প্রসঙ্গ অস্বীকার করে বলেছে, এটি নিছক গুজব। মার্কিন সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে— কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মকর্তা বিদেশি রাষ্ট্র বা নেতার কাছ
থেকে উপহার, পদবি বা মর্যাদা গ্রহণ
করতে পারবেন না।
এদিকে
ট্রাম্পের এই বিলাসবহুল বিমান
ব্যবহারের সম্ভাব্যতা নিয়ে ওয়াশিংটন ও দোহা—দুই
রাজধানীতেই আলোচনা চলছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সমালোচকদের দাবি, এটি শুধু বিদেশি প্রভাব বিস্তারের এক চমৎকার সুযোগ
নয়, বরং এটি রাজনৈতিকভাবে ‘ঘুষ’ হিসেবেও গণ্য হতে পারে।
এবিসি
নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা
হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ শেষে ট্রাম্পের প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরি পরিচালনায় ব্যবহৃত হতে পারে এই রাজকীয় বিমান।
সূত্রঃ এবিসি নিউজ।