কাতারের
আল-উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছেই আনন্দ প্রকাশে দ্বিধা করেননি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভাষণ শুরুর আগে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘গড ব্লেস দ্য
ইউএসএ’ গান বাজতে থাকলে তিনি নাচের ভঙ্গিতে দুলতে থাকেন। তার পেছনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা মার্কিন সেনা সদস্যরাও উপভোগ করছিলেন সেই মুহূর্ত।
ট্রাম্পের
এই উচ্ছ্বাসের পেছনে ছিল একটি বড় কূটনৈতিক ও
অর্থনৈতিক অর্জন। তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরেই কাতারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তির আওতায়
কাতার এয়ারওয়েজ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিমান নির্মাতা বোয়িং থেকে ১৬০টি বিমান কিনবে। আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও কাতারের আমির
শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি।
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি আরব ও কাতারের সঙ্গে
এমন মাল্টি-মিলিয়ন ডলারের চুক্তি ট্রাম্প প্রশাসনের কূটনৈতিক কৌশলের অংশ। বিশেষ করে তার দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই এমন সাফল্য তাকে চাঙ্গা করে তুলেছে।
এ
সফরে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, তার মধ্যস্থতাতেই ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে
রাজি হয়েছে। কৌশলগত অবস্থানের কারণে কাতার শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।