ইরানের
পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল—এমন আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নতুন তথ্যে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো
হয়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য পাওয়া
গেছে।
তবে
এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। একইভাবে, বার্তাসংস্থা রয়টার্সও জানায়, তাদের পক্ষেও এই প্রতিবেদন যাচাই
করা সম্ভব হয়নি। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এনএসসি), ইসরায়েলি দূতাবাস এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সিএনএনের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ইসরায়েলের হামলার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে জানানো হয়, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে
এমন কোনো সমঝোতা হয়, যেখানে ইরান তার ইউরেনিয়াম মজুদ পুরোপুরি প্রত্যাহার না করে—তবে
ইসরায়েলের হামলার আশঙ্কা আরও বাড়বে।
তবে
ইসরায়েল এই হামলার সিদ্ধান্ত
চূড়ান্ত করেছে কি না, তা
এখনও স্পষ্ট নয়। মার্কিন প্রশাসনের মধ্যেও এ নিয়ে মতবিরোধ
রয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত ইসরায়েল হামলা চালাবে, আবার অনেকে এ বিষয়ে সন্দিহান।
সিএনএনের
মতে, ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক তৎপরতা নিয়ে যে তথ্যগুলো সংগ্রহ
করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে দেশটির উচ্চপর্যায়ের নেতাদের ব্যক্তিগত ও প্রকাশ্য বক্তব্য,
সামরিক যোগাযোগে গোয়েন্দা নজরদারি এবং বিভিন্ন সামরিক প্রস্তুতির পর্যবেক্ষণ। বিশেষ করে বিমান হামলার জন্য গোলাবারুদ সরানো এবং একটি সাম্প্রতিক বিমান মহড়া—সব মিলিয়ে বড়
ধরনের অভিযানের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে,
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে নতুন করে কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজছে। তবে
এ নিয়ে ইরানের দিক থেকেও আশাবাদী কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এক বক্তব্যে বলেন,
“আমেরিকার দাবি—ইরান যেন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করে—তা অতিরিক্ত এবং
অযৌক্তিক।” তিনি নতুন পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার সফলতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
সূত্রঃ সিএনএন, রয়টার্স।