তহবিল
কমানোর পর এবার হার্ভার্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নিষিদ্ধ করল ট্রাম্প প্রশাসন। পাশাপাশি বর্তমানে সেখানে পড়াশোনা করা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের সুযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপে হার্ভার্ড
বিশ্ববিদ্যালয় ও মার্কিন প্রশাসনের
মধ্যকার বিরোধ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। খবর বিবিসি ও এএফপির।
বৃহস্পতিবার
(২২ মে) মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো
হয়, "হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় নতুন করে কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। বর্তমানে ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীদের অবশ্যই অন্যত্র স্থানান্তর করতে হবে, নতুবা তারা বৈধতার আওতার বাইরে পড়ে যাবে।"
মার্কিন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, “হার্ভার্ড আইন মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাদের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে দেওয়া হবে না। এটি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য একটি
কঠোর বার্তা।”
হার্ভার্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, গত শিক্ষাবর্ষে প্রতিষ্ঠানে
মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ২৭.২ শতাংশ,
অর্থাৎ প্রায় ৭ হাজার বিদেশি
শিক্ষার্থী ভর্তি ছিলেন।
এই
সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে হার্ভার্ড এক বিবৃতিতে বলেছে,
এটি একটি "বেআইনি ও প্রতিশোধমূলক" পদক্ষেপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের
মুখপাত্র জেসন নিউটন বলেন, “আমরা আমাদের শিক্ষার্থী ও কর্মীদের পাশে
থাকার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। এই সিদ্ধান্ত আমাদের
সদস্য ও দেশের উচ্চশিক্ষা
ব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ।”
উল্লেখ্য,
চলতি বছরের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণের অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৬৫ কোটি ডলারের কেন্দ্রীয় তহবিল বাতিল করেন। বিষয়টি বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সূত্রঃ বিবিসি, এএফপি।