ছবিঃ সংগৃহীত।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া অবস্থান নিয়েছেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে এই পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই
তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ট্রাম্প
জানান, ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তির পথে এগোচ্ছে, আর এই সংবেদনশীল
সময়ে হামলার মতো পদক্ষেপ আলোচনাকে বিঘ্নিত করতে পারে। তাই নেতানিয়াহুকে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “এখন ইরানে হামলা করা সঠিক হবে না, কারণ আমরা একটি সমাধানের খুব কাছাকাছি রয়েছি।” হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এদিকে
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি রুখতে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। জবাবে ইরান স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তাদের ওপর হামলা হলে এর কঠোর জবাব
দেওয়া হবে।
আল
জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, ওমান এবং ইতালিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে
কয়েক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা থেকে বোঝা
যাচ্ছে—দুই দেশই একটি সমঝোতার পথে এগোচ্ছে। রয়টার্সের কাছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই ইরানি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের জব্দ করা অর্থ ছেড়ে দেয় এবং বেসামরিক উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার স্বীকার করে, তাহলে ইরান এক বছরের জন্য
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিত রাখতে পারে। তবে তারা এটিও স্পষ্ট করেছেন, এই প্রস্তাব এখনো
প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
জাতিসংঘের
পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইএইএ-এর মহাপরিচালক রাফায়েল
মারিয়ানো গ্রোসি বলেন, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার
আলোচনা এখনো অনিশ্চিত। তবে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চালু থাকাকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন, কারণ এর মাধ্যমে সমঝোতার
একটি পথ খোলা থাকে।
প্রসঙ্গত,
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী, ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রমে সীমা আরোপ করেছিল এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে সেই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আবারও তীব্র উত্তেজনার দিকে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলছে, নতুন যেকোনো চুক্তিতে ইরানকে সম্পূর্ণভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে হবে, কারণ এটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করে। কিন্তু ইরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি, তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, একে তারা নিজেদের জাতীয় অধিকার বলে মনে করে।
সূত্রঃ আলজাজিরা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh