গাজা উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত একটি বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
রোববার (১ জুন) আল জাজিরার আরবি প্রতিনিধির বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে অবস্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে এই হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা।
জিএইচএফ একটি বিতর্কিত সংস্থা, যেটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের প্রত্যক্ষ সহায়তায় পরিচালিত হয়ে থাকে। ইসরাইলি হামলায় হতাহতের ঘটনায় গাজা জুড়ে আবারও ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাবের জবাব দিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে চায়।
শনিবার (৩১ মে) দেওয়া বিবৃতিতে হামাস জানায়, তারা নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিমুক্তির বিনিময়ে ১০ জন জীবিত ইসরাইলি জিম্মি এবং ১৮ জন নিহত জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করতে প্রস্তুত রয়েছে।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, “এই প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য হলো গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং আমাদের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তার নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করা।”
যদিও হামাস বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের কোনো নির্দিষ্ট সংশোধনী তুলে ধরেনি, ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, হামাস প্রস্তাবের কিছু অংশে সংশোধনীর প্রস্তাব দিয়েছে। তা সত্ত্বেও তারা সামগ্রিকভাবে প্রস্তাবটিকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে।
হোয়াইট হাউস থেকেও জানানো হয়েছে, হামাস তাদের সুপরিচিত দাবিগুলো—স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, সেনা প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তার নিশ্চয়তা—পুনরায় তুলে ধরেছে।
তবে হামাসের প্রতিক্রিয়াকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন উইটকফ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি বলেন, “হামাসের উচিত আলোচনার ভিত্তি হিসেবে আমাদের প্রস্তাবিত কাঠামো গ্রহণ করা, যাতে চলতি সপ্তাহেই আমরা চুক্তিটি বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যেতে পারি।”
সূত্রঃ আলজাজিরা।