চলতি বছরের ১৫ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত কানাডার আলবার্টার কানানাস্কিস রিসোর্টে জি-৭ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বে এই সম্মেলনের আয়োজন করছে কানাডা।

সূত্র জানায়, ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখনও এমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি যে, ভারতকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো যায়। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তি এখনো তৈরি হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় সরকারি এজেন্টদের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। ভারত ওই অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক বলে প্রত্যাখ্যান করে। এর পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়, একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয় এবং সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে।

নতুন সরকার গঠনের পর কানাডার পক্ষ থেকে সম্পর্কোন্নয়নের আশার ইঙ্গিত মিললেও, এখনো দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র। যদিও নয়াদিল্লি ও অটোয়ার মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিছু ইতিবাচক বার্তা আদান-প্রদান হয়েছে, তা জি-৭ সম্মেলনে মোদির উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল না।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়মিতভাবে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান ও ইতালি জি-৭ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসছে। ভারতের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও বৈশ্বিক ইস্যুতে ভূমিকা বিবেচনায় এ আমন্ত্রণগুলো দেওয়া হতো।

জি-৭ হচ্ছে বিশ্বের সাতটি অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশের একটি গ্রুপ, যার সদস্য দেশগুলো হলো—কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস।