পাকিস্তানের করাচিতে ভূমিকম্পের সময়কার বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন ২১৩ কয়েদি। সোমবার (২ জুন) দিবাগত রাতে সিন্ধ প্রদেশের রাজধানী করাচির মালির কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
সিন্ধ প্রদেশের মালির কারাগারে এই নাটকীয় পালানোর ঘটনাটি ঘটে একাধিক ভূমিকম্পের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে। পাকিস্তানের ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, রবিবার সকাল থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত করাচি ও আশপাশের এলাকায় মোট ১৯ বার ভূমিকম্প হয়েছে, যার মাত্রা ছিল ৩.২ থেকে ৩.৯ এর মধ্যে। ভূমিকম্পের ঘনঘটায় নগরজুড়ে ভয় এবং বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে।
কারাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার রাতে এক ভূমিকম্পের সময় বন্দিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ চলছিল। ঠিক তখনই ৪ ও ৫ নম্বর সার্কেলের কয়েদিরা হঠাৎ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে কারারক্ষীদের সঙ্গে। উদ্ভূত বিশৃঙ্খলায় ২১৩ জন বন্দি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ঘটনার সময় সংঘর্ষে একজন কয়েদি কারারক্ষীদের গুলিতে নিহত হন এবং এক কারারক্ষী কয়েদিদের হামলায় গুরুতর আহত হন।
মালির কারাগারের সুপারিন্টেনডেন্ট আরশাদ শাহ দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে জানান, পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের ধরতে পুলিশ, সীমান্তরক্ষী রেঞ্জার্স, আধাসামরিক ফ্রন্টিয়ার কর্পস, স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিট এবং র্যাপিড রেসপন্স ফোর্সের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি চৌকস অভিযানিক দল গঠন করা হয়েছে। অভিযান ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ৮০ জন পালিয়ে যাওয়া বন্দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ১৩৩ জনকে খুব শিগগিরই আটকের আশা করা হচ্ছে।
ঘটনার গুরুত্ব তুলে ধরে সিন্ধ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রী জিয়া-উল-হাসান লাঞ্জার একে সাম্প্রতিক বছরের মধ্যে ‘সবচেয়ে বড় কয়েদি পালানোর ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
প্রসঙ্গত, মালির কারাগারে বর্তমানে মোট কয়েদির সংখ্যা ৬ হাজার ২২ জন। পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের অধিকাংশই ৪ ও ৫ নম্বর সার্কেলের কয়েদি ছিলেন, যাদের মধ্যে অনেকেই সন্ত্রাসবাদ ও গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্রঃ জিও নিউজ।