গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহর একটি ত্রাণকেন্দ্রে আবারও গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মঙ্গলবার (৩ জুন) সংঘটিত এই হামলায় অন্তত ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯০ জন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হামলার সময় ত্রাণ সংগ্রহের জন্য কেন্দ্রটির সামনে অনেক মানুষ অপেক্ষা করছিলেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা কিছু সন্দেহভাজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ ও ইচ্ছাকৃতভাবে পুনরাবৃত্ত অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করে জানিয়েছে, গত আট দিনে ত্রাণ নিতে আসা অন্তত ১০২ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এই হামলার আগে গত রোববারও রাফাহর একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত কেন্দ্রে খাবারের জন্য অপেক্ষা করা মানুষের ওপর গুলি চালানো হয়। রেড ক্রস জানিয়েছিল, সেদিন তাদের হাসপাতালে ১৭৯ জন হতাহত আসে, যাদের মধ্যে ২১ জন মারা যান। তবে হামাস পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স সংস্থার দাবি, নিহতের সংখ্যা ছিল ৩১।
এই ঘটনায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে, গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন দাবি করেছে, তারা কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ছাড়াই ত্রাণ বিতরণ করেছে। তবে বিতরণকৃত খাবারগুলো রান্না করে খেতে হয়, যা রাফাহসহ যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার মানুষের জন্য অত্যন্ত কঠিন, কারণ সেখানে রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও অবকাঠামোর মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা।