গাজায় বিতর্কিত মানবিক সহায়তা সংস্থা গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) সম্প্রতি ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল-সমর্থিত এই সংস্থাটি গত সপ্তাহে ত্রাণ বিতরণ শুরু করলেও জানায়, তারা বর্তমানে সংস্থার দক্ষতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য প্রস্তুতির জন্য তাদের সাইটগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখছে।
তবে রয়টার্স–এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সংস্থাটি ইতোমধ্যে ইসরাইলকে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে। পরিস্থিতির উত্তেজনার মধ্যেই, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক পৃথক বিবৃতিতে জানায়, ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর দিকে যাওয়া বা সেগুলোর আশপাশে অবস্থান করা এখন থেকে জনগণের জন্য নিষিদ্ধ।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে গাজার একটি বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন, এমন দাবি করেছে হামাস-পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি। আহতদের অনেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আইডিএফ দাবি করেছে, ঘটনাস্থলে তাদের সৈন্যরা একটি নির্ধারিত প্রবেশ পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে আসা কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ঝুঁকি মনে করে গুলি ছোড়ে। কিন্তু এই দাবি উল্টোভাবে তুলে ধরেছেন গাজার দক্ষিণে অবস্থিত খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের পরিচালক আতেফ আল-হাউট। তিনি জানান, পশ্চিম রাফায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় থাকা বেসামরিক মানুষের ভিড়ের উপর ইসরাইলি বাহিনী গুলি চালায়, এবং সেখান থেকেই আহত ব্যক্তিরা গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আসেন।
হামাস–পরিচালিত সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ট্যাঙ্ক, কোয়াডকপ্টার ড্রোন ও হেলিকপ্টার থেকে বেসামরিক জনগণের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক বিদেশি চিকিৎসক ঘটনাস্থলকে “সম্পূর্ণ হত্যাকাণ্ড” বলে বর্ণনা করেন।
সূত্রঃ বিবিসি।