ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (৯ জুন) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে পাঠানো এক চিঠিতে মাহমুদ আব্বাস এই প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন। মঙ্গলবার ফ্রান্সের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

চিঠিতে আব্বাস বলেন, “হামাস আর গাজা শাসন করতে পারবে না। তাদের সামরিক সক্ষমতা ও অস্ত্র ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।” তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী গাজায় আরব অথবা আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, “আমরা একটি বাধ্যতামূলক সময়সীমার মধ্যে আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধান, সমর্থন ও নিশ্চয়তার সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্পন্ন করতে প্রস্তুত—যা ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটাবে এবং চূড়ান্ত মর্যাদার বিষয়গুলো সমাধান করবে।”

চিঠিতে হামাসকে অবিলম্বে সব জিম্মি ও বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “গাজার শাসন ক্ষমতা থেকে তাদের বিদায় নিতে হবে। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।”

চিঠিতে আব্বাস ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কারের প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকতায় এক বছরের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে।

এই চিঠির পর ফ্রান্স এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত শর্তগুলোকে ‘বাস্তবসম্মত ও অভূতপূর্ব’ বলে অভিহিত করে। এলিসি প্রাসাদ থেকে বলা হয়, “দ্বিরাষ্ট্র সমাধান অর্জনে এসব শর্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে তাঁর দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, চলতি মাসেই জাতিসংঘের নিউইয়র্ক সদর দফতরে আয়োজিত এক সম্মেলনে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান নিয়ে আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিলেও, শেষ পর্যন্ত কেবল স্পেন ও আয়ারল্যান্ডই তা কার্যকর করে। ফ্রান্স তখন পিছু হটতে বাধ্য হয়।

সূত্রঃ এএফপি।