ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র গত তিন-চার দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ঘাঁটি থেকে অন্তত ৩০টি সামরিক জেট ইউরোপে সরিয়ে এনেছে।
এগুলোর গতিপথের ওপর নজর রাখা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য পর্যালোচনার পর ‘বিবিসি ভেরিফাই’ এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।
এই ৩০টি জেটই মার্কিন সামরিক বাহিনীর ট্যাংকার উড়োজাহাজ, এগুলো আকাশেই যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমানে পুনরায় জ্বালানি ভরে দিতে পারে।
ফ্লাইটরাডার টোয়েন্টিফোরের তথ্য অনুযায়ী, এই ট্যাংকারগুলোর মধ্যে অন্তত ৭টি কেসি-১৩৫ স্পেন, স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডে অবস্থিত বিভিন্ন মার্কিন বিমানঘাঁটিতে থেমেছে।
বিবিসি ভেরিফাই যে ৭টি ট্যাংকার জেটের গতিপথ পর্যালোচনা করেছে, সেগুলো ইউরোপের ঘাঁটিতে নামার পরও বিভিন্ন দিকে গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে সিসিলির পূর্ব দিকে এগুলোকে উড়তে দেখা গেছে বলে তাদের ফ্লাইট ট্র্যাকিং তথ্য বলছে। এ ট্যাংকারগুলোর ৬টির কোনো সুনির্দিষ্ট গন্তব্য ছিল না, একটি পরে নামে গ্রিসের ক্রেট দ্বীপে।
আইরিশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক প্রধান, ভাইস অ্যাডমিরাল মার্ক মেলেট বলছেন, এসব ট্যাংকার ইরানকে ভয় দেখাতেও মোতায়েন করা হতে পারে, যেন তারা তাদের পরমাণু কর্মসূচিতে ছাড় দেয়।
এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগর থেকে তার বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিট্জকে মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ে আসছে বলে খবর বেরিয়েছে। এই সপ্তাহের শেষদিকে রণতরীটির ভিয়েতনামের দানাংয়ে থাকার কথা ছিল।
কিন্তু ‘হঠাৎ উদ্ভূত জরুরি কাজের প্রয়োজনে’ এটি ভিয়েতনাম না গিয়ে অন্য গন্তব্যে রওনা হয়েছে বলে হ্যানয়ের মার্কিন দূতাবাসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জাহাজের গতিপথে নজর রাখা ওয়েবসাইট মেরিন ট্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোরের আগে রণতরীটি মালাক্কা প্রণালীতে ছিল, গতিমুখ সিঙ্গাপুরের দিকে।
অনেক যুদ্ধবিমান বহন করতে সক্ষম ইউএসএস নিমিট্জের সঙ্গে একাধিক যুদ্ধজাহাজও থাকে।