× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

এখন কোন পথে ইরান?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।

২৫ জুন ২০২৫, ১৮:৫৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়া মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক মূল্যায়ন যদি সঠিক হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ দেখা দেবে এবং প্রশ্ন উঠবে যে ইরান এখন কী করবে?

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা কি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে উল্লেখযোগ্যভাবে বিলম্বিত করার পরিবর্তে আরও গতিশীল করতে উদ্বুদ্ধ করবে? বিশেষ করে যখন ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে এবং নিহত বিজ্ঞানীদের জায়গায় নতুনদের নিযুক্ত করা হবে, তখন কি এই কর্মসূচির গতি বাড়বে?

দুই দেশের হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে ইরান, তা নিরূপণ করতে সময়ের দরকার হবে। এছাড়া ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে ইসরায়েল যে দাবি করতো এতদিন, সেটি নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে।

ইরানি কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে বলেছেন, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরান আর কখনই পারমাণবিক কর্মসূচি গড়ে তুলতে পারবে না।

তবে ইরানের ক্ষমতাসীন নেতারা এখন বুঝে গেছেন, একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করা হয়েছে এবং এমন অস্ত্রই হয়তো ভবিষ্যতের হামলা থেকে তাদের কেবল রক্ষা হতে পারে।

পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিল করার দাবিতে উত্তর কোরিয়ার ওপর সব ধরনের চাপ প্রয়োগ করা সত্ত্বেও দেশটির ভাণ্ডারে পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত হয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্রধারী হওয়ায় এই দেশটি কখনই কোনও ধরনের হামলার শিকার হয়নি।

বুধবার ইরানের সংসদ বৈশ্বিক পারমাণবিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধে একটি বিল পাস করেছে। এমনকি দেশটির কিছু কর্মকর্তা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকেও বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।

এছাড়া ৬০ শতাংশ মাত্রা সমৃদ্ধ করা প্রায় ৪০০ কেজি ইউরেনিয়ামের ক্ষেত্রে কী ঘটেছে সেটিও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। ইরানের এই মাত্রায় পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণকে অস্ত্র তৈরির জন্য নির্ধারিত মাত্রার কেবল এক ধাপ নিচে রয়েছে বলে মনে করা হয়।

ইসরায়েল-ইরানের যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকলে আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা একটি নতুন চুক্তির জন্য আবারও আলোচনা শুরুর চেষ্টা করবেন। আর এই চুক্তি উভয়পক্ষেরই মানার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।

তবে ইরান বর্তমানে দুর্বল অবস্থানে থাকলেও এই আলোচনা কঠিন হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শর্তই হচ্ছে, ইরানের মাটিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। আর ইরান বরাবরের মতো এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, ‘‘ইরানিদের সঙ্গে আমাদের বসার এবং একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তি করার সময় এসেছে।’’

সূত্র: বিবিসি।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.