× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে ব্যাংককে বিক্ষোভ সমাবেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।

২৮ জুন ২০২৫, ১৭:৪৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের জেরে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের মুখোমুখি হচ্ছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতংটার্ন সিনাওয়াত্রা। তার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে শনিবার (২৮ জুন) শত শত বিক্ষোভকারী রাজধানী ব্যাংককে জড়ো হয়েছে।

২০২৩ সালে সিনাওয়াত্রার ফেউ থাই পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এটিই সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। বর্তমানে ৩৮ বছর বয়সী এই প্রধানমন্ত্রীর ওপর ব্যাপক চাপ বেড়েছে।

ইউনাইটেড ফোর্স অফ দ্য ল্যান্ড' আয়োজিত এই সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা ভিক্টরি মনুমেন্টের পাশে পতাকা উত্তোলন করে। এটি মূলত জাতীয়তাবাদী কর্মীদের একটি জোট, যারা গত দুই দশক ধরে অন্যান্য শিনাওয়াত্রা-সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে সমাবেশ করে আসছে।

অতীতের বিক্ষোভগুলো সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি তবে সফলভাবে চাপ তৈরি করেছিল। ফলস্বরূপ ২০০৬ এবং ২০১৪ সালে বিচারিক হস্তক্ষেপ এবং সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকির দিকে এগোচ্ছে।

শনিবার বিক্ষোভের বিষয়ে সিনাওয়াত্রা বলেন, তিনি এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। সমাবেশটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

গত সপ্তাহে ক্ষমতাসীন জোট থেকে ভূমজাইথাই পার্টি বেরিয়ে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী এখন একটি ক্ষীণ সংখ্যাগরিষ্ঠ জোটের নিয়ন্ত্রণে আছেন। আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্ট অধিবেশনে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে পারেন তারা।

সিনাওয়াত্রা এবং কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের মধ্যে ফাঁস হওয়া ফোনালাপের পর 'থাই সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা' হারানোর ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে ভুমজাইথাই পার্টি গত সপ্তাহে সরকারের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে।

ফোনালাপের সময়, পায়েতংটার্ন প্রবীণ কম্বোডিয়ান রাজনীতিবিদকে 'তোষামোদ' করার চেষ্টা করেন। তিনি নিজ দেশের সেনা কমান্ডারের সমালোচনা করেছিলেন। দেশটিতে সেনাবাহিনীর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। যদিও পরে তিনি তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান।

ফাঁস হওয়া ফোনকলের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর আচরণ তদন্তের জন্য একদল সিনেটর সাংবিধানিক আদালত এবং একটি জাতীয় দুর্নীতি দমন সংস্থার কাছে আবেদন করার পর তাকে বিচারিক তদন্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। উভয় সংস্থার সিদ্ধান্ত তাকে অপসারণের দিকে নিয়ে যেতে পারে

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.