গতকাল শনিবার এক রাতেই ইউক্রেনে ৪৭৭ ড্রোন ও ৬০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংঘাত শুরুর পর এর আগে কখনোই এত বড় হামলা করেনি দেশটি। আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যম ইউরো নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলছে, মোট ৫৩৭টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে ২৪৯টি ভূপাতিত করা হয়েছে, ২২৬টি ব্যর্থ। এসব হামলা ফ্রন্টলাইনে করা হয়নি। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র এসেছে পশ্চিম ইউক্রেনে, যা যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন থেকে অনেক দূরে।
এদিকে পোল্যান্ডের বিমানবাহিনী বলছে, তারা নিজেদের আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আনে।
খেরসনের গভর্নর ওলেকসান্দর প্রোকুদিন বলছেন, এই হামলায় অন্তত একজন নিহত হয়েছে। আর খারকিভে নিহত হয়েছে একজন। চেরকাসিতে আহত হয়েছে ৬ জন, এদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে।
এদিকে, রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ায় মস্কোর ৩টি হেলিকপ্টার ও একটি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন। অঞ্চলটির কিরোভস্ক বিমানঘাঁটিতে রাতভর ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ।
ওই ঘাঁটিতে রুশ যুদ্ধবিমান পরিচালনাকারী ইউনিট, গোলাবারুদের গুদাম, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং গোয়েন্দা নজরদারী ও আক্রমণকারী অনেক ড্রোন মজুত ছিল। ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার এমআই-৮, এমআই-২৬ এবং এমআই-২৮ হেলিকপ্টার আর পান্তসির-এস ১ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। ওই হামলায় বিশেষ ড্রোন ব্যবহার করেছে কিয়েভ।
এদিকে, রাশিয়ার বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে ইউক্রেনের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। নিহত হয়েছেন ওই বিমানের পাইলট। আর পূর্ব ইউক্রেনের কৌশলগত শহর পোকরোভস্ক দখলের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।