সৌদি আরবকে লিখিত বার্তা দিয়েছে ইরান। এতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার (০২ জুলাই) মেহের নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বিন আবদুল্লাহ ইরানের পক্ষ থেকে একটি লিখিত বার্তা পেয়েছেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এ বার্তা দিয়েছেন। এতে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার ও সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রিয়াদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনে সৌদি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার ওয়ালিদ আল খেরিজি ইরানের রাষ্ট্রদূত আলিরেজা ইনায়াতির সঙ্গে বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে বার্তাটি গ্রহণ করেন। বৈঠকে উভয় দেশের কর্মকর্তারা সৌদি-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ ইরানের নতুন সামরিক বাহিনী প্রধান আবদুর রহিম মুসাভির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। রাষ্ট্র পরিচালিত সৌদি প্রেস এজেন্সি ও ইরানের মেহের নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, এই ফোনালাপটি মুসাভির উদ্যোগে শুরু হয়। তারা দুজন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনা করেন এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেন।
দীর্ঘদিন ধরে ইরান ও সৌদি আরব একে অন্যকে শত্রুজ্ঞান করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন-মধ্যস্থতায় সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের দিকে এগিয়ে গেছে দুই দেশ। বর্তমানে তাদের সম্পর্ক স্থিতিশীল। ইসরায়েল ইরানে হামলা করলে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সৌদি।
গত ১৩ জুন শুরু হওয়া ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের প্রথম দিকেই ইরানের সামরিক বাহিনী প্রধান মোহাম্মদ হোসেইন বাকেরি নিহত হন। এ হত্যার পর মুসাভিকে এই পদে নিযুক্ত করা হয়।