ভারতের দিল্লিতে ধসে পড়েছে একটি চারতলা ভবন। দিল্লির সিলমপুর এলাকার ওয়েলকাম লোকালিটির জনতা কলোনির গলি নম্বর ৫-এ বৃহস্পতিবার সকালে একটি চারতলা ভবন ধসে পড়ে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করে দিল্লি ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।
দিল্লি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ধসে পড়া ভবনটি আনুমানিক ৩০-৩৫ স্কয়ার গজ জায়গার ওপর নির্মিত হয়েছিল।
ইতিমধ্যে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তিন থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখনো কয়েকজন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন এবং জরুরি দলগুলোর সঙ্গে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। উত্তর-পূর্ব জেলার অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার সন্দীপ লাম্বা বলেন, ‘সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে আমরা গলি নম্বর ৫-এ একটি চারতলা ভবন ধসের খবর পাই।
এখানে বসবাসরত একটি পরিবারের সাতজন সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ, এনডিআরএফ, সিভিল ডিফেন্স ও স্থানীয় বাসিন্দারা একসঙ্গে কাজ করছেন। এখনো ৩-৪ জন আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
উদ্ধারকাজে স্থানীয়দের ভূমিকা প্রশংসনীয়।’
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সংকীর্ণ গলি থাকায় ধ্বংসস্তূপ সরাতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে। এনডিআরএফ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, ঘটনাস্থলে প্রবেশ করা এবং ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খুব সকালে হঠাৎ একটি বিকট শব্দ, যেন বোমা বিস্ফোরণ, শুনে তারা আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বের হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভবনটি পুরোপুরি ধসে পড়ে।
এক প্রতিবেশী দাবি করেন, দুই দিন আগে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের কারণে ভবনের কাঠামোগত দুর্বলতা তৈরি হয়েছিল, যার ফলেই ধস হতে পারে। এক নারী প্রত্যক্ষদর্শী কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ‘চোখের সামনে সবকিছু ধসে পড়তে দেখেছি… এটা ভোলার মতো নয়।’ এ ঘটনায় ১৪ মাস বয়সী এক শিশুকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে পুরনো ও দুর্বল ভবন এবং সম্প্রতি হওয়া ভূমিকম্পকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বিবেচনা করছে কর্তৃপক্ষ। উদ্ধারকাজ এখনো চলমান এবং আশপাশের এলাকাবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস