ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজা নিয়ে সুস্পষ্ট রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণে চাপ দিচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী।
ইসরাইলি চিফ অফ স্টাফ ইয়াল জামির সতর্ক করেছেন, গাজা নিয়ে কোনো রাজনৈতিক চুক্তি না হলে ইসরাইলের সামনে মাত্র দু’টি বিকল্প বাকি থাকবে। তা হলো, গাজার পূর্ণ দখল। এই বিকল্প গ্রহণ করতে গেলে অপহৃতদের জীবন বিপন্ন হতে পারে এবং সেনাবাহিনীর ওপর দীর্ঘমেয়াদে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হবে। ‘গিডিয়নের রথ’ অভিযান চালিয়ে যাওয়া, যা সেনাবাহিনীর ওপর বিরাট বোঝা হিসেবে রয়ে যাবে।
এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে চিফ অফ স্টাফ ইসরাইলি সরকারের কাছে একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক কৌশল চাইলেন, যাতে গাজার যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে যুদ্ধ-পরবর্তী পর্যায়ে একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী কোনো স্পষ্ট কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি বা রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে না।
ইসরাইল হায়োম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামির দাবি করেছেন যে ‘গিডিয়ন রথ’ সামরিক অভিযান এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। অভিযানের মূল লক্ষ্য পূরণ হয়েছে এবং এটি হামাসকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে। বর্তমানে হামাস গাজার মাত্র ২৫ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে বলে তিনি দাবি করেন।
তবে তিনি দক্ষিণ গাজায় একটি তথাকথিত ‘মানবিক শহর’ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি একে একটি ‘গুরুতর কৌশলগত ভুল’ এবং ‘ফাঁদ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এটি সেনাবাহিনীর ওপর একটি ভারী বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।
নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে জামির স্পষ্টভাবে জানান, দুই মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনির দেখভালের দায়িত্ব সেনাবাহিনী গ্রহণ করবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য হলো সশস্ত্র হুমকি নির্মূল করা, জনগণের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা নয়।
ইসরাইল হায়োমের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পছন্দের বিকল্প হলো এমন একটি রাজনৈতিক চুক্তি, যা তেল আবিবের শর্তে বন্দী বিনিময়ের পথ সুগম করবে। এই শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে গাজা উপত্যকার নিরস্ত্রীকরণ এবং হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরানো।
সূত্র : আল জাজিরা