ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান ইয়াল জামির। তিনি বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে লড়াই এখনো চলছে এবং সেটি শেষ হয়নি।
এছাড়া গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ইতিহাসে অন্যতম জটিল ও কঠিন যুদ্ধ বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
এদিন ইসরায়েলের এই সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, ইরান ও তার মিত্রদের এখনো আমাদের লক্ষ্যবস্তু হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ইরানের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান এখনো শেষ হয়নি।
আনাদোলু বলছে, সেনাপ্রধান ইয়াল জামির এই মন্তব্য করেছেন সামরিক মূল্যায়নের একটি বৈঠকে, যা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
জামির জানান, তিনি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তারা “বৃহৎ ও ব্যাপক পরিসরে চলমান অভিযানের জন্য প্রস্তুত থাকে”, বিশেষ করে যেসব এলাকায় ইসরায়েল বিমান ও স্থল অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
তিনি বলেন, সিরিয়া ও হিজবুল্লাহকে যেন কৌশলগত সামর্থ্য অর্জন করতে না দেওয়া হয় সে বিষয়ে আমরা কাজ চালিয়ে যাব এবং নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনার স্বাধীনতাও বজায় রাখব। পাশাপাশি আমরা জুডিয়া ও সামারিয়া (ওয়েস্ট ব্যাংক) অঞ্চলেও সক্রিয়।
গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ সম্পর্কে জামির বলেন, “এটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ইতিহাসে অন্যতম জটিল ও কঠিন যুদ্ধ”। তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধে আমাদের চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে, কিন্তু আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত থামব না জিম্মিদের মুক্তি ও হামাসকে ধ্বংস করা।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় ৫৯ হাজার ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এই যুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। একইসঙ্গে ভয়াবহ খাদ্য সংকট তৈরির পাশাপাশি গোটা অঞ্চলটিকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে এই সংঘাত।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা চলছে।