ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য ইরান প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল যদি নতুন করে যুদ্ধ শুরু করে, তাহলে জবাব দিতে ইরান সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
একইসঙ্গে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে বর্তমান যুদ্ধবিরতি বেশিদিন টিকবে না বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
পাশাপাশি ইরান শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরার।
আল জাজিরাকে দেওয়া একান্ত এক সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান। আজ বুধবার এই সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।
গত মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের ভয়াবহ সংঘাত শেষ হওয়ার পর এটিই ছিল তার প্রথম টেলিভিশন সাক্ষাৎকার।
ওই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়।
এদিকে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের এই বক্তব্য এমন সময় এলো যখন পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
যদিও বেশ কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় প্রত্যাশিত মাত্রায় ক্ষতি হয়নি।
পেজেশকিয়ান বলেন, ইসরায়েল যদি আবারও হামলা চালায়, তাহলে আমরা প্রস্তুত আছি এবং প্রয়োজনে ইসরায়েলের ভেতরে গিয়েও হামলা করতে পারব।
তিনি বলেন, এই যুদ্ধবিরতিকে আমরা টেকসই বলে মনে করি না। তাই যেকোনো পরিস্থিতির জন্য আমাদের সেনাবাহিনী প্রস্তুত। ইসরায়েল আমাদের ক্ষতি করেছে, আমরাও তাদের গভীরে গিয়ে আঘাত করেছি। তবে তারা তাদের ক্ষতির পরিমাণ গোপন করছে।
তিনি আরও জানান, ইসরায়েলের হামলায় ইরানের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা নিহত হয়েছেন এবং স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলের উদ্দেশ্য ছিল ইরানের নেতৃত্ব ধ্বংস করে দেওয়া। তবে সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
গত জুনে ১২ দিনের সংঘাতে ইরানে ৯০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন সাধারণ নাগরিক। অপরদিকে, ইসরায়েলে নিহত হন কমপক্ষে ২৮ জন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় ২৪ জুন।
পেজেশকিয়ান বলেন, আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। তবে সেটি হবে আন্তর্জাতিক আইন মেনেই।