বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে উভয় দেশের বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণের পর কম্বোডিয়ায় যুদ্ধবিমান দিয়ে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে থাই সেনাবাহিনী লিখেছে, কম্বোডিয়ান ব্যাটালিয়নে বোমা হামলা চালানোর পর সকল থাই এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিরাপদে অক্ষত অবস্থায় দেশে ফিরেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে সীমান্তের বিরোধপূর্ণ অংশে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি হয়। আল জাজিরা জানিয়েছে, কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনীর ছোড়া রকেটের আঘাতে দুই থাই বেসামরিক নিহত হয়েছে। এরপরেই ওই অঞ্চলে ফাইটার জেট মোতায়েন করে থাই বাহিনী।
থাই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের একটি যুদ্ধবিমান কম্বোডিয়ায় গুলিবর্ষণ করেছে এবং সামরিক লক্ষ্যস্থল ধ্বংস করেছে। দেশটির বাহিনী দাবি করেছে, কম্বোডিয়ার স্পেশাল মিলিটারি রিজিয়ন কমান্ডস ৮ ও ৯ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
কম্বোডিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে যে থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার ভূখণ্ড জোরপূর্বক দখলের প্রচেষ্টায় অতিরিক্ত সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে। সেইসঙ্গে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে এবং বিমান হামলা চালাচ্ছে।
কম্বোডিয়ার মন্ত্রণালয় থাইল্যান্ডের এমন পদক্ষেপকে নৃশংস ও অবৈধ সামরিক আগ্রাসন এবং জাতিসংঘ সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে।
দেশটি আরও অভিযোগ করেছে, থাই যুদ্ধবিমান থেকে আমাদের নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে দুইটি বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত থাই এই হামলাকে সশস্ত্র আক্রমণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বলেছেন, কম্বোডিয়া শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের পক্ষে, কিন্তু এই সশস্ত্র আক্রমণের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানানো ছাড়া আমাদের আর কোনও বিকল্প নেই।
এদিকে কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশের স্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সীমান্তলগ্ন ৮৬ গ্রাম থেকে অন্তত ৪০ হাজার থাই বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।