থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে বড় বিস্ফোরণের খবর আসছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশই পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণে জড়িয়েছে। ফলে তিন প্রদেশের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে থাইল্যান্ড। খবর আলজাজিরার।
হামলার পর কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। থাইল্যান্ডের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, সুরিন প্রদেশের ফানম ডং রাক জেলার সীমান্তের কাছে স্কুল বন্ধ থাকবে।
স্থানীয় গণমাধ্যম সিসাকেট এবং বুড়িরামেও স্কুল বন্ধের খবর দিয়েছে।
এদিকে কম্বোডিয়া জানিয়েছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সরিয়ে নিয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা যে কোনো আক্রমণ মোকাবিলায় প্রস্তুত।
বৃহস্পতিবার ভোরে সীমান্তের বিতর্কিত অঞ্চলে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির পর পরিস্থিতি চরমে পৌঁছে যায়। কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই থাইল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়ে বসে কম্বোডিয়া। কয়েক দফার হামলায় একটি হাসপাতালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক থেপসুথিন বলেছেন, বৃহস্পতিবারের সহিংসতায় ১১ জন থাই বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সৈন্য নিহত হয়েছে। থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৮ বছর বয়সী শিশুও রয়েছে। অন্তত ৩টি এলাকায় কম্বোডিয়ার গোলাবর্ষণের শিকার হয়।
এদিকে কম্বোডিয়ার ছোড়া রকেট হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে সীমান্তের ওপারে আঘাত হেনেছে থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী।