রাশিয়ার দূর প্রাচ্যের কামচাটকা উপদ্বীপ জোড়া বিপদের মুখে। ৮.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইউরেশিয়ার সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি ক্লিউচেভস্কয়। আগ্নেয়গিরির নির্গত ছাইয়ের স্তরে ইতোমধ্যে ৩ কিলোমিটার আকাশ ঢেকে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে লাভা উদগিরণের শঙ্কায় আতঙ্কে স্থানীয়রা।
রুশ সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার (৩০ জুলাই) কামচাটকায় আঘাত হানে ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের পরপরই উপদ্বীপজুড়ে চার মিটার পর্যন্ত উচ্চতার সুনামি আছড়ে পড়ে। ইতিমধ্যে কামচাটকার উপকূলে আঘাত হেনেছে সুনামির ঢেউ, স্থানীয় গণমাধ্যমে উঠে এসেছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
এদিকে ভূমিকম্পের পর জেগে উঠেছে ক্লিউচেভস্কয় আগ্নেয়গিরি।
রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেসের আগ্নেয়গিরি ও ভূকম্পবিদ্যা ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরি থেকে ছাইয়ের স্তম্ভ ছড়িয়ে পড়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ কিলোমিটার (১.৮ মাইল) উচ্চতায়। ইতোমধ্যে ছাই বিস্তার লাভ করেছে আগ্নেয়গিরির ৫৮ কিলোমিটার (৩৬ মাইল) পূর্ব পর্যন্ত।
ইনস্টিটিউট আরও জানায়, গর্তটি এখন লাভায় প্রায় পূর্ণ। যে কোনো সময় বিস্ফোরকভাবে লাভা উদগিরণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগ্নেয়গিরির চলমান কার্যকলাপ নিম্ন উচ্চতায় চলাচলকারী বিমানের জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে।
ক্লিউচেভস্কয়ের ওপর আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের রুট না থাকায় আঞ্চলিক বিমান চলাচলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে বিমান চলাচলের ঝুঁকির মাত্রা বোঝাতে কমলা রঙের সতর্কতা সংকেত চালু করেছে।
সুনামির প্রভাবে শুধু রাশিয়াই নয়, সতর্ক অবস্থানে আছে জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্র। জাপানে সুনামির প্রথম ঢেউ ইতিমধ্যে আঘাত হেনেছে।