ইসরায়েল অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করলে তেলআবিব একটি ভূতুড়ে শহরে পরিণত হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন তেহরানের অস্থায়ী জুমার নামাজের ইমাম আয়াতুল্লাহ আহমদ খাতামি।
এই সপ্তাহের জুমার খুতবায় তিনি বলেন, ‘শত্রু সবসময়ই ইরানকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। এখন তারা ইরান ধ্বংসের কথা বলছে। কারণ তারা নিজেদের জীবন-মরণ পরিস্থিতিতে দেখছে। কিন্তু আমরা দৃঢ়ভাবে সাইপ্রাস গাছের মতো দাঁড়িয়ে আছি।’ খবর মেহের নিউজের।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। এটি ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণা এবং ইরানের শক্তি বৃদ্ধি প্রমান করে।
খাতামি উল্লেখ করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম কোনো দেশ এত স্পষ্টভাবে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে (কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটিতে) আঘাত করেছে। ইরান শক্তিশালীভাবে আঘাত করেছে এই ঘাঁটিতে এবং বিশ্বকে তার ক্ষমতা দেখিয়েছে।’
খাতামি বলেন, এই যুদ্ধ প্রমাণ করেছে- ইসরায়েল একটি ‘ক্যান্সারাস টিউমার’, যেটি অপসারণ করা প্রয়োজন।
তিনি মুসলিম দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেন, ইসরায়েল সিরিয়ার সাথে যেটা করেছে, সেটা অন্য মুসলিম দেশগুলোর সাথেও করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ইরান যুদ্ধ শুরু করেনি, কিন্তু নিজের প্রতি আঘাতের জবাব শক্তভাবে দিয়েছে।’
খাতামি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নেমেছে ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য। এর জন্য ‘আমেরিকার মৃত্যু’ স্লোগান এখনো ইরানিদের মধ্যে জনপ্রিয়।
তিনি জানান, ১৩ জুন ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক এলাকায় ১২ দিনব্যাপী আগ্রাসন চালায় ইসরায়েল। এর পর ২২ জুন ইরানের নাতাঞ্জ, ফোর্দো এবং ইসফাহানে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
এর জবাবে, ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩’-এর আওতায় দখলকৃত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহরে ২২টি পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অ্যারোস্পেস ইউনিট। এতে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয় ইসরায়েল।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এটি ছিল পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি।
এর পর, গত ২৪ জুন থেকে কার্যকর হওয়া একটি অস্ত্রবিরতি লড়াই আপাতত বন্ধ করেছে।