অস্কারজয়ী অভিনেত্রী এমা থম্পসন মজা করে বলেছেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই সময় আমার ডিভোর্স চূড়ান্ত হওয়ার দিনই ডেটে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ৬৬ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি যদি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করতাম, তাহলে হয়তো মার্কিন ইতিহাসের গতিপথ বদলে যেতে পারতো।
৮ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে তার কর্মজীবনের স্বীকৃতি স্বরূপ লিওপার্ড ক্লাব অ্যাওয়ার্ড গ্রহণকালে তিনি ঘটনাটি স্মরণ করেন। তিনি জানান, ১৯৯৮ সালের ড্রামেডি ‘প্রাইমারি কালারস’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় ট্রাম্প তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
থম্পসন জানান, তিনি তখন নিজের ট্রেইলারে ছিলেন, হঠাৎ ফোন বেজে ওঠে। তিনি ফোন ধরার পর অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে, হ্যালো, ‘আমি ডোনাল্ড ট্রাম্প।’
তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম এটা একটা রসিকতা। আমি বললাম, ‘আপনার জন্য কী করতে পারি?’ হয়তো তিনি কারো থেকে দিকনির্দেশনা চাইছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন বলেন, “আমি চাই আপনি আমার কোনো একটি সুন্দর জায়গায় এসে থাকুন। হয়তো আমরা একসঙ্গে ডিনার করতে পারি।”
থম্পসনের উত্তর ছিল, “আহা, খুবই মিষ্টি কথা। ধন্যবাদ। আমি পরে জানাবো।”
তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারি, সেদিনই আমার ডিভোর্স চূড়ান্ত হয়েছিল। আমি নিশ্চিত, তার লোকজন এমন কারো খোঁজ করছিল যাকে তিনি বাহুডোরে নিয়ে চলতে পারেন। যিনি হবেন একজন সুন্দর ডিভোর্সপ্রাপ্ত নারী, যেটাই তিনি খুঁজছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “আর তিনি আমার ট্রেইলারের ভেতর থেকে ফোন নম্বর খুঁজে বের করেছিলেন। এটা তো এক রকম স্টকিংই।”
মজা করে আরও তিনি বলেন, “আমি যদি সেই প্রস্তাবে রাজি হতাম, তাহলে এখন একটা গল্প থাকতো বলার মতো। হতে পারে, আমি মার্কিন ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে দিতে পারতাম।”
এমা থম্পসনের অভিনেতা কেনেথ ব্রানার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ১৯৮৯ সালে, যা ১৯৯৫ সালে ডিভোর্সে গড়ায়। পরে তিনি ২০০৩ সালে গ্রেগ ওয়াইজকে বিয়ে করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন তার দ্বিতীয় স্ত্রী মারলা ম্যাপলসের সঙ্গে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন, এবং পরে ২০০৫ সালে মেলানিয়া ট্রাম্পকে বিয়ে করেন।
সূত্র: এনডিটিভি