দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্ত্রী কিম কিয়ন হিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিউলের আদালতে শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিমের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, শেয়ারবাজারে কারসাজিসহ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
শুনানিতে কিম কালো স্যুট ও স্কার্ট পরে উপস্থিত ছিলেন। চার ঘণ্টার শুনানি চলাকালে তাকে খুব সাহসী দেখাচ্ছিল। আদালতে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন; কিন্তু আদালত তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। নতুন করে প্রতিপক্ষের কৌঁসুলিরা অভিযোগ তোলেন, কিমকে আটক রাখা না হলে তিনি প্রমাণ নষ্ট করে ফেলতে পারেন। এতে তদন্ত বিঘ্নিত হবে। আদালত এমন আশঙ্কা আমলে নিয়ে কিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। খবর বিবিসির।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। একই সময় তার স্ত্রীকে কারাগারে যেতে হলো। এমন নজির দেশটিতে প্রথম।
গত বছর প্রেসিডেন্ট থাকাকালে সামরিক আইন জারি করে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন ইউন। তার এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পার্লামেন্ট সদস্যরা সোচ্চার হলে অল্প সময় পরই আদেশ প্রত্যাহার করে নেন তিনি। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তী সময়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। অভিশংসন হয়েও তিনি প্রাসাদে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আদালতে কৌঁসুলিরা বলেছেন, ৫২ বছর বয়সী কিম কিয়ন হি শেয়ারবাজারে কারসাজি করে প্রায় ৮০ কোটি ওন (প্রায় ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪০ ডলার) লাভ করেন। তিনি ব্যবসায়িক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চ থেকে দুটি শ্যানেল ব্যাগ ও একটি হীরার নেকলেস ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের উপনির্বাচন ও গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়নে অবৈধ হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে।