দক্ষিণ চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ স্কারবোরো শোলের কাছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ‘ইউএসএস হিগিন্সকে’ তারা পর্যবেক্ষণ করেছে এবং তাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের সামরিক বাহিনী। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী জানিয়েছে, তাদের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গেই সঙ্গতিপূর্ণ।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) চীনের দক্ষিণ থিয়েটার কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, ইউএসএস হিগিন্স চীনা সরকারের অনুমতি ছাড়াই ওই জলসীমায় প্রবেশ করেছে। চীন অভিযোগ করেছে, এই ঘটনায় তাদের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হয়েছে এবং এটি দক্ষিণ চীন সাগরে স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করেছে।
তবে ইউএস নেভির সপ্তম নৌবহর চীনের দাবি খণ্ডন করে বলে, চীনের বিবৃতি মিথ্যা। মার্কিন পক্ষ জানায়, তারা স্কারবোরো শোলের কাছে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ন্যাভিগেশনাল অধিকার ও স্বাধীনতা প্রয়োগ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘তারা আন্তর্জাতিক আইনের অনুমোদিত জায়গায় উড়তে, ভাসতে ও কাজ করতে পারবে। এছাড়া চীনের আপত্তি এতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।’
চীন প্রায় পুরো দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা দাবি করে। এতে ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের সঙ্গে ওভারল্যাপ করে।
সপ্তাহের শুরুতে ফিলিপাইন অভিযোগ করে, স্কারবেবোরো শোলের কাছে তাদের একটি সরবরাহ মিশনে চীনা জাহাজগুলো বিপজ্জনকভাবে বাধা দিয়েছে। এর ফলে দুটি চীনা জাহাজের সংঘর্ষও হয়েছে।
বুধবার ফিলিপাইন কোস্ট গার্ড জানায়, চীনা জাহাজগুলো স্কারবরো শোলের কাছাকাছি যেতে তাদের সম্পূর্ণভাবে বাধা দিতে চেয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক একটি ট্রাইব্যুনাল রায় দিয়েছিল যে চীনের ঐতিহাসিক মানচিত্রের ভিত্তিতে তাদের দাবি আন্তর্জাতিক আইনে বৈধ নয়। তবে চীন সেই রায় এখনো মানে না।
সূত্র: আল আরাবিয়া