রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে ইউক্রেনের উচিত একটি সমঝোতায় আসা এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়া একটি বড় শক্তি আর ইউক্রেন তা নয়।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈঠকে পুতিন ইউক্রেনের শিল্পসমৃদ্ধ দোনেৎস্ক অঞ্চল পুরোপুরি দাবি করেন। এর বিনিময়ে যুদ্ধক্ষেত্রের বেশির ভাগ জায়গায় লড়াই থামানোর প্রস্তাব দেন তিনি।
আর এই বিষয়টি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
তবে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট প্রস্তাবটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বর্তমানে দোনেৎস্ক প্রদেশের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ এবং ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ এলাকা রাশিয়ার দখলে রয়েছে।
ট্রাম্প বৈঠকের পর বলেন, যুদ্ধবিরতি নয়, সরাসরি শান্তি চুক্তিই এখন জরুরি।
নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, ‘শুধু যুদ্ধবিরতি নয়, স্থায়ী শান্তির জন্য একটি চুক্তিই সেরা সমাধান।
ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, ভূমি হস্তান্তর ও ইউক্রেনের নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিয়ে তিনি ও পুতিন ‘অনেকাংশে একমত’ হয়েছেন। তার ভাষায়, ‘আমরা একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি আছি। ইউক্রেনকেও এতে সম্মত হতে হবে।
হয়তো তারা বলবে-না।
অন্যদিকে জেলেনস্কি এক এক্স বার্তায় লিখেছেন, ‘হত্যা বন্ধ করা ছাড়া যুদ্ধ বন্ধের কোনো পথ নেই। রাশিয়ার অনিচ্ছা স্থায়ী শান্তিকে জটিল করে তুলছে।’ তবে তিনি সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকে জেলেনস্কিকে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল।
এবার বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারাও যোগ দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভবিষ্যতে তিনি পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজন করতে পারেন। ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানালেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করার ওপর জোর দিয়েছেন।