ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন এবং আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ইউরোপের নেতারাও এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।
এই বৈঠকের আগে ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইউক্রেনকে যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে রাশিয়ার কিছু শর্ত মেনে নিতে হবে। তিনি বলেন, ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া রাশিয়ার হাতে তুলে দিতে হবে এবং ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ বন্ধের জন্য মূল শর্তই যেন তুলে ধরেছেন তিনি।
ট্রাম্পের বক্তব্য রাশিয়ার অবস্থানের সুরেই যেন প্রতিধ্বনিত হয়েছে। এই মন্তব্য এসেছে মাত্র দু’দিন পর, যখন তিনি পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধ বন্ধে একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির বিষয়ে অগ্রগতি হচ্ছে। মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ জানান, পুতিন সম্মতি দিয়েছেন- ইউক্রেনের মিত্ররা তাকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে পারবে এবং কিছু ভূখণ্ড বিনিময়ের ব্যাপারেও নমনীয়তা দেখিয়েছেন।
তবে এখনও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অমীমাংসিত। জেলেনস্কি রোববার বলেন, ‘ইউক্রেনের সংবিধান অনুযায়ী কোনো ভূখণ্ড ছাড়া বা বিনিময় করা সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, তিনি ইউক্রেনের জন্য উপযুক্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাওয়া সম্ভবনার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী, তবে তা অবশ্যই অতীতের চেয়ে শক্তিশালী হতে হবে। কারণ ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করার সময় আগের নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি ব্যর্থ হয়েছিল।
আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) বৈঠকে, জেলেনস্কি প্রথমে ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মিলিত হবেন, এরপর ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বিত বৈঠকে অংশ নেবেন।