ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে রাজি হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে পারবে এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন পুতিন।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ বলেন, আলাস্কায় অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে তারা এ বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর মতো নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে পারবে।
যেখানে বলা হয়েছে, জোটের যেকোনো একটি সদস্যের ওপর হামলা পুরো জোটের ওপর হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দীর্ঘদিন ধরেই ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করে আসছেন। উইটকফ বলেন, ইউক্রেন যদি এই বিকল্প নিরাপত্তা গ্যারান্টি মেনে নিতে পারে, তাহলে এটি কার্যকর একটি সমাধান হতে পারে। উইটকফ বলেন, সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে আর কোনো ভূখণ্ডে না যাওয়ার বিষয়েও রাজি পুতিন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি সফরের আগে জেলেনস্কি বলেন, ‘এই নিশ্চয়তা অবশ্যই বাস্তবসম্মত হতে হবে এবং স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে। এ ছাড়া ইউরোপের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে গঠিত হবে।’
স্টিভ উইটকফ আরো বলেন, রাশিয়া আলোচনায় কিছু বিষয়ে ছাড় দিয়েছে। বিশেষ করে দনেৎস্ক অঞ্চল নিয়ে সোমবার গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে।
এর আগে শুক্রবার আলাস্কায় এক বৈঠকে পুতিন ট্রাম্পকে একটি শান্তি প্রস্তাব দেন। রাশিয়া জাপোরিঝিয়া ও খেরসনে ফ্রন্টলাইন ‘স্থগিত’ করতে রাজি, তবে বিনিময়ে ইউক্রেনকে দনবাস অঞ্চলের দোনেৎস্ক এলাকা থেকে সরে আসতে হবে।
ইউরোপীয় কূটনৈতিক সূত্র জানায়, তারা আশঙ্কা করছে, ট্রাম্প হয়তো জেলেনস্কিকে এই শর্ত মেনে নিতে চাপ দেবেন। রাশিয়া দনবাস অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে এবং বর্তমানে লুহানস্কের পুরোটা ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। এ ছাড়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপও অবৈধভাবে দখল করে নেয়।
জেলেনস্কি মঙ্গলবার স্পষ্ট বলেন, ইউক্রেন দনবাস অঞ্চল ছাড়ার কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করবে না, কারণ এটি ভবিষ্যতে আরো আগ্রাসনের সুযোগ তৈরি করতে পারে। তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনের সংবিধান অনুযায়ী ভূখণ্ড পরিবর্তনের জন্য একটি গণভোট প্রয়োজন।
সূত্র : রয়টার্স