রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্থায়ী শান্তি চুক্তির কেন্দ্রে থাকবে এক ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা। এর উদ্দেশ্য হবে আবারও ইউক্রেনে আক্রমণ থেকে রাশিয়াকে বিরত রাখা।
যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দিতে অনিচ্ছুকই দেখা গেছে। দেশটি বিষয়টি ব্রিটেন ও ফ্রান্সের নেতৃত্বাধীন তথাকথিত 'ইচ্ছুকদের জোটের' ওপর ছেড়ে দিয়েছিলো। যদিও গতকাল সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে আলোচনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইউরোপীয় দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে এই নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে পারে।
তাহলে এটি কোন রূপ নিতে পারে? এর চারটি সম্ভাবনা তুলে ধরা হলো—
১. স্থল সেনা মোতায়েন: ট্রাম্প এই যুদ্ধকে ইউরোপের সমস্যা হিসেবে দেখেন। তিনি এই সংঘাতে, এমনকি শান্তিরক্ষী হিসেবেও মার্কিন সেনা পাঠাতে রাজি হবেন। এটি একটি বড় ধরনের নীতি পরিবর্তন হবে।
২. আকাশ ও সমুদ্র টহল: যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই যুদ্ধ পর্যবেক্ষণে নজরদারি চালাচ্ছে। তবে সংঘর্ষমূলক নয় এমন একটি গোয়েন্দা টহল এবং রাশিয়ার মতো একটি পারমাণবিক শক্তির সঙ্গে সরাসরি সশস্ত্র সংঘর্ষের মধ্যে রয়েছে বিশাল পার্থক্য।
৩. গোয়েন্দা সহায়তা: মার্কিন স্যাটেলাইট ও আকাশপথের গোয়েন্দা তথ্য রাশিয়ার অগ্রযাত্রা প্রতিহত করতে ইউক্রেনকে অত্যন্ত সহায়তা করেছে। যদি সব পক্ষের সম্মতিতে একটি শান্তি চুক্তি হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র এ খাতে সহায়তা দিতে আগ্রহী থাকবে।
৪. লজিস্টিক সহায়তা: শান্তি চুক্তির পর যুক্তরাজ্য বা ফ্রান্স নেতৃত্বাধীন 'নিশ্চয়তাকারী বাহিনী' যেভাবেই গঠিত হোক না কেন, এর জন্য ব্যাপক সরবরাহ ও পরিবহন সহায়তা প্রয়োজন হবে। আর প্রাণঘাতী নয় এ ধরনের সহায়তা দিতে ওয়াশিংটন স্বচ্ছন্দ বোধ করবে।