মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সত্যিই ইউক্রেন সংঘাত মেটাতে আগ্রহী। সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের পর ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। এর আগে গত সপ্তাহে আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের পর জেলেনস্কিকে ওয়াশিংটনে ডাকা হয়েছিল।
ট্রাম্প বলেন, আঙ্কোরেজে আলোচনার সময় তিনি ও পুতিন ভালো আলোচনা করেছেন মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে চলমান যুদ্ধ থামানো নিয়ে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, এর থেকে কিছু একটা বের হতে পারে।
ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, তার, পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শিগগিরই আয়োজন করা যেতে পারে এবং আমরা যদি এটা করতে পারি, তাহলে যুদ্ধ শেষ হওয়ার একটা যৌক্তিক সম্ভাবনা থাকবে।
তিনি বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে চিনি। আমি নিজেকেও চিনি। আমি বিশ্বাস করি, ভ্লাদিমির পুতিন চান এই সংঘাতের অবসান হোক।
জেলেনস্কি বলেন, কিয়েভও ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ একটি ভালো ইঙ্গিত। আমি মনে করি, এটা খুবই ইতিবাচক।
সোমবার ট্রাম্প পুতিনকে ফোন করেন জেলেনস্কি ও পশ্চিম ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে তার আলোচনার অগ্রগতি জানানোর জন্য, যারা ওয়াশিংটনে এসে তাকে সমর্থন জানাচ্ছিলেন।
রুশ প্রেসিডেন্টের সহকারী ইউরি উশাকভ জানান, ফোনালাপটি চলেছিল ৪০ মিনিট এবং উভয় নেতা ইউক্রেন সংঘাতের সমাধান নিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আলাস্কার শীর্ষ বৈঠকের পর পুতিন বলেন, এটি আমাদের শান্তির কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। তবে তিনি পুনরায় উল্লেখ করেন, সংকটের মূল কারণ দূর না করা পর্যন্ত স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।
মস্কোর মতে, টেকসই শান্তির জন্য ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে, সামরিকীকরণ হ্রাস করতে হবে এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা স্বীকার করতে হবে যার মধ্যে রয়েছে ক্রিমিয়া এবং ২০২২ সালে গণভোটে রাশিয়ায় যোগ দেওয়া ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল।
সূত্র: আরটি